মানুষের পাশে একজন ড. বিজন কুমার শীল



মানুষের পাশে একজন ড. বিজন কুমার শীল
বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। বিশ্বব্যাপী যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রোগ শনাক্তে কিট সংকটে ভুগছে তখন বাংলাদেশি এই বিজ্ঞানী মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। তিনি ঘোষণা দিলেন, তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কি না। এতে খরচ পড়বে ৩০০-৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে ২০০-২৫০ টাকায় বাজারজাত করা যাবে। তার গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ড. বিজনের নেতৃত্বে এই গবেষণা টিমে রয়েছেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এটা একটা ভিন্ন পদ্ধতি। এর নাম হলো : ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’। এই পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবিলা করে। তারপর তিনি সিঙ্গাপুরেই গবেষণা করছিলেন ডেঙ্গুর ওপরে। গবেষণা চলাকালে তিনি দুই বছর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন। তিনি যখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন, তখন তিনি ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছিলেন। ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। এ প্রসঙ্গে আলাপচারিতায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানালেন, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে যখন নতুন করোনাভাইরাস দেখা দিল তখন তিনি আমাদের বললেন, এটা (নতুন করোনাভাইরাস) হলো সার্সে রূপান্তরিত রূপ। এটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে। তিনি এটা বুঝতে পেরেছিলেন। তখন আমরা কেউ চিন্তা করি নাই করোনাভাইরাস এমন হতে পারে। তিনি তখন বলেছিলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের গবেষণা করা দরকার। তিনি আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। সাভারে আমাদের ক্যাম্পাসেই থাকেন। তিনি গত দুই মাসে করোনার গবেষণা পারফেক্ট করেন। এই পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। তিনি বলেন, প্রচলিত কিট যেটা ব্যবহৃত হচ্ছে সেটা খুবই ব্যয়বহুল। এ জন্য একটা দামি যন্ত্র প্রয়োজন হয়। সেই যন্ত্র সব মেডিকেল কলেজে নেই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩টা আছে। সারা দেশে এই যন্ত্র খুব বেশি নেই। আইইডিসিআরের কাছে একটা যন্ত্র আছে। এ কারণে তারা এখন পর্যন্ত মাত্র ২৬৮ জনের করোনা পরীক্ষা করতে পেরেছে। অথচ আমাদের পরীক্ষা করা উচিত ছিল হাজার-হাজার। এখন সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের মর্জির ওপর। ডেঙ্গু টেস্টের যেমন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল করোনা টেস্টেরও যদি মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাহলে জনগণ স্বল্প মূল্যে সেবা পাবে। মূল্য নির্ধারণ না করে দিলে যে যার যার মতো টাকা নেবে। আমরা মাসে এক লাখ কিট সরবরাহ করতে পারব। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে প্রাথমিকভাবে এ মাসে ১০ হাজার কিট সরবরাহ করতে পারব। আরও একটি খুশির সংবাদ হলো : আমেরিকার একটি বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আমাদের জানিয়েছে, তারাও আমাদের সঙ্গে উদ্ভাবিত এই ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ উৎপাদন করতে চান। এ কথা ড. বিজন কুমার শীলকে তারা জানিয়েছেন।
source : bd-protidin

Post a Comment

0 Comments

Update Posts

স্মার্ট নাগরিক গঠনে গ্রন্থাগারের ভুমিকা রচনা ১০০০ শব্দ
তালিবানি মুখোশ খুলে ঝাঁঝরা হয়েছিলেন সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাভ জেহাদীর, মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে নির্যাতিত হয়েছে ধর্ষিত হয়েছে মারা গেছে এরকম দশটি কাহিনী
Disclaimer
১০টি বাংলাদেশের সেরা ক্যান্সার হাসপাতাল  10 best cancer hospitals in Ban...
১০ বছরে মাধ্যমিক, ১৬-তে ইঞ্জিনিয়ার, ক্যাটও পাশ করে ফেলল এই কিশোরী!
Top 14 Best Paying CPC/PPC Ad Networks
100% Proof - How to Get Back Suspended YouTube Channel Bangla - 100% Solution
Keyboard shortcuts for Windows
ইবনে সিনা হাসপাতালের ডাক্তার লিস্ট | Ibn Sina Hospital Dhanmondi Doctor ...
Goutom buddho biography গৌতম বুদ্ধের জীবনী গৌতম বুদ্ধের জীবনের বিস্ময়কর অজানা তথ্য  ইতিহাস জেনে নিন