#_অগ্নিযুগের_অগ্নিকন্যা_কমলা_দাশগুপ্ত

 

স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী

#_অগ্নিযুগের_অগ্নিকন্যা_কমলা_দাশগুপ্ত

স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী এই গ্রন্থটি ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয়, এই গ্রন্থটি লিখেছেন কমলা দাশগুপ্ত। আর এজন্যই আমরা অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী নারীর কথা জানতে পারি। কমলা দাশগুপ্ত ১৯০৭ সালে ঢাকার বিক্রমপুরে এক বৈদ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি হচ্ছেন ভারতীয় বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী ও সাহিত্যিক
১৯২৪ সালে কমলা দাশগুপ্ত ঢাকার ব্রাহ্মবালিকা শিক্ষালয় থেকে প্রবেশিকা পাশ করেন। তারপরে কলকাতায় তার পরিবারকে আসতে হয়। তারপর তিনি পড়াশোনার জন্য বেথুন কলেজে ভর্তি হন। ১৯২৮ সালে কমলা দাশগুপ্ত বেথুন কলেজ থেকে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইতিহাসে এম.এ পাস করেন। এম.এ শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় তিনি রাজনৈতিতে যোগ দেওয়ার মনস্ক করেন। সে সময়ে কমলা দাশগুপ্ত যুগান্তর দলের এক সদস্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়।
কমলা দাশগুপ্ত মহান বিপ্লবী শহীদ দীনেশ মজুমদারের কাছে লাঠিখেলা শিখতে আরম্ভ করেন। যুগান্তর দলের নেতা রসিকলাল দাসের অনুপ্রেরনায় গান্ধীর অহিংসবাদ ছেড়ে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য যুগান্তর দলে যোগ দেন ১৯২৯ সালে। তার সহ সঙ্গিনী হিসাবে ছিল বিপ্লবী নারী কল্যাণী দাস। কমলা দাশগুপ্ত রিভলবার সরবরাহ করেন বিপ্লবী বিনা দাসকে। সেই রিভলবার দিয়ে গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা করেন। কমলা দাশগুপ্ত ১৯৩০ সালে বাড়ি ছেড়ে দরিদ্র নারীদের জন্য একটি হোস্টেলের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন। সেখানে কমলা দাশগুপ্ত বিপ্লবীদের জন্য বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংরক্ষণ করতেন এবং বহন করে আনতেন।
এই অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী কমলা দাশগুপ্ত ১৯ শে জুলাই ২০০০ সালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
কমলা দাশগুপ্ত তার কর্মজীবনে শিক্ষকতা ছাড়াও তিনি মন্দিরা পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। পরে দেশ ভাগ হাওয়ার পর লিখেছিলেন তার আত্মজীবনী রক্তের অক্ষরে, যেটা ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত হয়। তার পর তিনি লিখেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী ১৯৬৩ সালে আরো একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ। এই গ্রন্থ দুটিতে তার বিপ্লবী ও রাজনৈতিক জীবনের নানা বিষয় উঠে এসেছে।
(তথ্যসূত্র সংগৃহীত)
লেখক::- প্রকাশ
স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী:: কমলা দাশগুপ্ত

Post a Comment

0 Comments