ডোমেইন কিনবেন? চমৎকার সাতটি ধাপে বেছে নিন আপনার ডোমেইন নেম

শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি হল যে শুধুমাত্র ২০১১ সালেই ১,৩৫,০০০ এরও বেশি ডোমেইন নেম বিক্রি হয়। আর ২০১৫ সালে অর্থাৎ মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯৪ মিলিয়নে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এত অসংখ্য ডোমেইনের মাঝে কেন আপনার নেমটি অনন্য হওয়া জরুরি?

ঘাবড়ানোর কিছুই নেই, চমৎকার একটি ডোমেইন কিন্ত আপনি এক ঘণ্টার মাঝেই বেছে নিতে পারেন। এই পোস্টটি আপনাকে সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে কীভাবে আপনি ধাপে ধাপে সাতটি পদ্ধতিতে আপনার ডমেইন নেইম পছন্দ করবেন।
ডোমেইন নেম জরুরী কেন
খুব সাধারণ একটি বিষয় নিয়ে একটু বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে মনে হচ্ছে? খুব সাধারণ বিষয় হলেও এটি খুব সত্য যে একটি ভাল ডোমেইন আপনাকে অনেক কিছুই দিতে পারে।
আপনার ব্র্যান্ড, বিজনেস কিংবা ব্লগ যাই বলুননা কেন, ডোমেইন থেকেই মানুষ প্রথমত এ সম্পর্কে ধারণা পায়। আর প্রাথমিক ভাবে একটি সুন্দর ভাবমূর্তি উপস্থাপন করতে কে না চাইবে!
এখন নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে ডোমেইন আপনার ব্র্যান্ডের শুধু একটি অংশ না, একটি অপরিহার্য অংশ?
শুধু যে আমরা বলছি তা কিন্তু না, গবেষণায়ও দেখা যায়, আপনার নামের প্রথম ও শেষ অংশ আপনার সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখে থাকে।
অসাধারণ একটি ডোমেইন পছন্দ করার কিছু পূর্বশর্ত মেনে চলে আপনিও পেয়ে যেতে পারেন মনের মত একটি ডোমেইন।
ডোমেইন পছন্দের ক্ষেত্রে SOE কতটা জরুরী
SOE রাঙ্কিং এ আপনার ডোমেইনের ভূমিকা নিয়ে আপনি দুশ্চিন্তা করতেই পারেন। তবে এ নিয়ে ঘাবড়াবার কিছুই নেই। দুইভাবে আপনি ডোমেইন পছন্দ করতে পারেন।
১। এগজ্যাক্ট ম্যাচ ডোমেইন (Exact Match Domain)
এগজ্যাক্ট ম্যাচ ডোমেইন একটি কীওয়ার্ডের মত, কিছু শব্দের সমন্বয়ে গড়া। এটি আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে একটি যথাযত ধারণা দিয়ে থাকবে। যেমন ধরা যাক, ‘bigfluffypillows.com’; কেউ যদি গুগলে মোটা, নরম, বড়সর বালিশের খোঁজ করে, তবে এই ডোমেইনটি সবার আগে চোখে পড়বে, ফলে ডোমেইনের মালিক গুগল সার্চের র‍্যাঙ্কিং এ অনেক দূর এগিয়ে যাবেন।
দুঃখের বিষয় হল এ ধরনের কৌশল আগে গুগল সার্চের শীর্ষে থাকতে প্রচুর সহযোগিতা করলেও পরবর্তীতে অতিরিক্তভাবে এ কৌশল ব্যাবহারের কারণে ওয়েব সাইটের মালিকেরা এটিকে লো র‍্যাঙ্ক কোয়ালিটি সার্চে নামিয়ে ফেলেন। ২০১২ সালে গুগল একটি আপডেট রিলিজ করে যা শুধুমাত্র ডোমেইন নেইমের ভিত্তিতে ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিং কে বিরত রাখে। সুতরাং, EMD কেই আপনি সকল কাজের কাজি বলতে পারেন না।
আপনি যদি লাইফস্টাইল ব্যাবসাতে পরিপূর্ণভাবে বিনিয়োগ করতে চান তবে ইএমডি আপনার ব্যাবসার পরিসরকে ছোট করে ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকারের লাইফস্টাইল আইটেম যা আপনার ব্যাবসাকে আরও সম্প্রসার করত তা থেকে আপনি বঞ্চিত হতে পারেন।
খুব কম ক্ষেত্রেই ইএমডি ভাল পছন্দ হতে পারেঃ
নিজ সাইট তৈরির ক্ষেত্রে, যা আপনি বেশিদিন ব্যবহার করবেন না
নিজ স্টোর তৈরির ক্ষেত্রে, যেখানে সুধু এক ধরণের আইটেম বিক্রি হবে। যেমন ধরা যাক tiffinbox.com- যেখানে শুধু টিফিন বক্স বিক্রি হবে।
নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর ব্লগ তৈরিতে, শুধুই ব্লগিং এর ব্যাপারে টিপস দেয়ায় আলোকপাত করে থাকে।
২। ব্র্যান্ড ডোমেইন (Brand Domain)
মনে রাখার মত কিংবা অন্য কোন নাম দেয়ার জন্য ব্র্যান্ড ডোমেইন এর বিকল্প নেই। এই নামটি পরবর্তীতে আপনার ব্র্যান্ড তৈরিতে বড় ভুমিকা রাখবে। ব্র্যান্ড ডোমেইন বেছে নেয়ার অপেক্ষাকৃত কিছু ভাল সুবিধা হলঃ
এটি অপেক্ষাকৃত বেশি ব্যক্তিগত হওয়ায় জন সাধারণের নিকট বেশি গ্রহণযোগ্য।
ব্যাবসায় সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও এই ডোমেইন আপনাকে বেশি স্বাধীনতা দিয়ে থাকে। আপনার পন্যের শাখা বিস্তারে কোন বাধা নেই।
ব্র্যান্ড তৈরিতে এর কোন বিকল্প নেই কেননা, নির্দিষ্ট কোন পণ্যের নাম আপনার ব্র্যান্ড তৈরিতে কোন ভূমিকা রাখবেনা।
সুতরাং, আপনি যদি সত্যিই কোন দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক লাইফস্টাইল বিজনেসে নিয়োজিত হতে চান তাহলে ব্র্যান্ড ডোমেইনই আপনার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
ব্র্যান্ড ডোমেইনের আরও একটি বড় ব্যাপার হল, যদি আপনার ব্র্যান্ডের নামে গুগলে যথেষ্ট সংখ্যক সার্চ করা হয় তাহলে গুগলের কাছেও আপনার ব্র্যান্ডের তাৎপর্য বেড়ে যায়, যার ফলে র‍্যাঙ্কিং এ আপনার ডোমেইন আরও উপরের দিকেই থাকে।
আপনার অথোরিটি ডোমেইনের চেয়ে গুগলের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনার ব্র্যান্ডের নাম যেই নামে লোকে গুগলে সার্চ দিবে। আকর্ষণীয় একটি ব্র্যাণ্ড নেইম তাই জরুরী যেন মানুষ তা মনে রাখে ও সার্চ দিতে পারে।
আবার এটাও সত্য যে ডোমেইনের বিষয়ের উপরও এর সাফল্য নির্ভর করে। ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনার লেখা লোকে পড়বে যদি তা তাদের ভাল লাগে। সুন্দর একটি ব্র্যান্ড নেইম এক্ষেত্রে তেমন কোন ভুমিকা নাও রাখতে পারে।
আপনি যদি অনেক ভেবেও খুব আকর্ষণীয় নাম না পান তাহলে ভয়ের কিছুই নেই।
ফাটাফাটি ডোমেইন নেইম বেছে নেয়ার ৬ টি পূর্বশর্তঃ
১। সামঞ্জস্যপূর্ণ
আপনি যে ধরণের প্রোডাক্ট বা পণ্যের বিজনেস করতে চান, আপনার ডোমেইন নেইমের সংগে তার সামঞ্জস্য থাকা জরুরী। ডোমেইনের নাম শুনেই যেন লোকে বুঝতে পারে কি বিজিনেসের সাথে আপনি জড়িত।
অবশ্য এটাও সত্য যে অনেকেই এই বিষয়টি আমলে নেন না এবং একেবারে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নামের ডোমেইনের সাফল্যের কাহিনীও কম নেই। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় rowdykittens.com এর কথা। বলাবাহুল্যএর সঙ্গে রাওডিকিটেন বা দুষ্ট বিড়ালছানার কোন সম্পর্ক নেই!
ICANN (Internet Corporation for Assigned Net andNumbers) এর এক গবেষণায় দেখা যায় যে, ৫৫ শতাংশ ইন্টানেট ব্যবহারকারী ডোমেইন নেইমের সঙ্গে ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর সামঞ্জস্য আশা করে থাকেন।
২। সংক্ষিপ্ত
ডোমেইন নেইমটি যত ছোট করা যায় ততই ভাল। খুব ভাল হয় যদি এক থেক তিন শব্দের মাঝে শেষ করে দেয়া যায়।
যদি আপনি কোন লম্বা ডোমেইন এর কথা ভেবে থাকেন তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন কত কষ্ট হতে পারে মানুষের তা মনে রাখতে! অথবা ধরা যাক কারও সাথে কোথাও আলাপচারিতার মাঝে নিজের ওয়েবসাইট এড্রেস দেবার সময় এত লম্বা নামটা কত ঝামেলার হবে বলতে গেলে! কোনটা বেশি সহজ আপনিই বলুন, unsettle.org নাকি buildalifestylebusinessyoulove.com?
ছোট ডোমেইন নেইম মনে রাখার জন্য যেমন সহজ, টাইপ করার জন্য এবং ব্র্যান্ড তৈরির জন্যও সহজ। এর ফলে লোগো তৈরি করতেও যেমন ঝামেলা হয় না তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটি সিম্পল ইমেইজ দাঁড় করানো যায়।
এ কারণেই কিছু ব্লগার লম্বা ডোমেইন নেইম ব্যবহার না করে এব্রিভিয়েশনের সাহায্য নেন। যেমন, Design Your Own Blog কে DYOB- এভাবে লেখা।
৩। মনে রাখার মতো
ডোমেইন নেইমটি অবশ্যই এমন হতে হবে যেন তা সহজেই মনে থাকে। অর্থাৎ-
এর বানান সহজ হতে হবে- কোন কঠিন বানান বা এমন কোন বানানের নিয়ম যা সাধারণ ইংরেজির বানানের মধ্যে পড়ে না, এরকম কোন শব্দ ডোমেইন হিসেবে দিলে তা ঝামেলারই হবে বেশি। আবার হাইফেন, ড্যাশ ইত্যাদি বাহুল্যের কারণেও ডোমেইনের বানান আর সহজ থাকবে না।
ডোমেইন এর নাম শুনলে মানুষের মনে একটা সুন্দর অনুভূতি কাজ করতে হবে যেন তা মনে থাকে। শক্তিশা্লী কোন শব্দ যা ভারী অর্থ বহন করে অথচ শুনতে সহজ এমন কোন কিছুই ডোমেইন নেইম হবার জন্য বাঞ্ছনীয়।
৪ । ব্র্যান্ড সম্পর্কিত
ডোমেইন নেইমটি অবশ্যই আপনি যেই ধরণের ব্র্যান্ড তৈরি করতে চান তার সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে হবে। এতে করে নাম শুনেই লোকে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কেই একটি ধারণা পেয়ে যাবে। যেমন ধরা যাক, babygleebd.com- নামশুনেইনিশ্চয়ইবুঝতেপারছেন, সাইটটিশিশুদেরসাথেসম্পর্কিত? ঠিকইধরেছেন, এটিশিশুদেরজন্যএকটিলাইফস্টাইলব্র্যান্ড।
৫। আকর্ষণীয় ও অনন্য একটি নাম হতে হবে
আপনার ডোমেইন নেইমটি সবার থেকে আলাদা হতে হবে। ডোমেইন কেনার সময় এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে যেন একই বা কাছাকাছি নামের আর কোন ডোমেইন কেউ কিনে ফেলেছে কিনা।
কপিরাইটের ঝামেলা এড়ানো কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে অযাচিত প্রতিযোগিতা এড়াতে এই বিষয়টি মাথায় রাখা খুব জরুরী। pinchofyum.com একটি জনপ্রিয় রান্নার ব্লগ। এখন আপনি যদি একটি রান্নার ব্লগ খুলেন এবং কাছাকাছি নাম দেন pinchoflove.com অথবা apinchofyum.net তাহলে কপিরাইট বিষয়ক বিতর্ক যেমন থাকবে আবার আপনার ব্লগের সতন্ত্র ও নষ্টহবে।
৬। আপনার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত
আপনি যদি পরিকল্পনা করে থাকেন আপনি এই ব্র্যান্ডকেই অনেকদূর এগিয়ে নিবেন তবে তার নামটাও এমন হতে হবে যেন তা আপনার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করে। হতে পারে এটি কোন নিশ সাইট কিংবা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তৈরি ব্লগ; বা কোন DIY ( ডুইটইয়রসেলফ) ব্লগ বা লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড- আপনার যদি সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন থেকে থাকে একে নিয়ে, তবে এমন নাম বাছাই করুন যা আপনার স্বপ্নকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
যদি এরকম হয় যে, আপনার সাইটি অনেক রকম শাখার সাথে জড়িত অর্থাৎ আপনি বিভিন্ন প্রকারের পণ্যের বিজনেস করতে চান এই সাইট থেকে তবে এমন নাম বাছাই করুন যা শুধু একটি নির্দিষ্ট জিনিসকেই বুঝায় না, বরং এর থেকে একটি বহুমুখী ধারণা পাওয়া যায়।
আপনার বিজনেস সম্পর্কে স্বচ্ছ ও সুদূরপ্রসারী ধারণা ও পরিকল্পনা না করে শুধু ঝোঁকের বশেই একটি ডোমেইন পছন্দ করে ফেলা কোন ভাল ফল দিবে না।
কী দিয়ে শেষ হবে? .com নাকি .net নাকি .org?
SEO গুরুরা হয়ত আপনাকে বলে থাকবে .com অত্যাবশ্যক। তাদের মতে গুগল .com ডোমেইনকে বেশি প্রাধান্য দেয় কেননা, সাধারণত এই ডোমেইন সার্চ ইঞ্জিনে আগে আসে।
এটি সত্য যে, .com সর্বজনবিদিত ও সবচেয়ে জনপ্রিয়। একি সঙ্গে এটি সবচেয়ে উপরের সারির ডোমেইন যাকে টপ লেভেল ডোমেইন বা TLD ও বলাহয়। গুগলের তাই একে প্রাধান্য দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তবে, এটা যে সত্য, তা কিন্তু না, গুগলের ওয়েব স্প্যাম টিমের প্রধান ম্যাট কাটস এ ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে একটি টুইট করেন যেখানে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিনে প্রথমে থাকার সাথে টিএলডির কোন সম্পর্ক নেই।
সুতরাং, .com কে আপনি প্রাধান্য দিতে পারেন এ কারণেই যে এটি সবথেকে সহজ ও মনে রাখার মত একটি ডোমেইন।
.com ডোমেইন ছাড়াও জনপ্রিয় হয়েছে এমন অসংখ্য ওয়েবসাইটের নমুনা পাওয়া যায়ঃ
Problogger.net (http:/ /problogger.net/)
Leadpages.net (http:/ /link.leadpages.net/a_c?oer_id=6&a_id=11608)
Bit.ly (http:/ /bit.ly/)
Fizzle.co (http:/ /zzle.co/)
Unroll.me (http:/ /unroll.me/)
এখন নিশ্চই আপনি আশ্বস্ত হতে পারছেন যে .com কোন অত্যাবশ্যকীয় জরুরী ডোমেইন না এবং সার্চ ইঞ্জিনে আপনার র‍্যাঙ্কিং এ এর কোন ভূমিকা নেই।
ICANN এরএকগবেষণায়দেখাযায়যে, ডোমেইনের এক্সটনশন নিয়ে মানুষ আসলে তেমন একটা ভাবেও না। দেখা যায় যে, ২৯ শতাংশ লোক ডোমেইনের এক্সটেনশন কী তা নিয়ে যেমন মাথা ঘামান না, তেমনি ৩৪% সাধারণত সহজ কোন এক্সটেনশন দিয়েই সার্চ দিয়ে থাকেন। আর বাকী ৩৭% সার্চ ইঞ্জিনের শুরুর দিকে আসা ওয়েবসাইটের উপরই নির্ভর করে থাকেন।
আপনি তাই .com নিতেই যে বাধ্য তা না। আপনার ব্লগের জন্য নিচের যে কোন টিএলডি ই আপনি বেছে নিতে পারেনঃ
.com
.org
.net
.co
.me
.biz
.ly
নিজের নামের প্রথম ও শেষাংশ দিয়ে ডোমেইন হলে কেমন হয়?
ব্লগ চালানো কিংবা কোন ওয়েবসাইট খোলার সময় অনেকেরই মাথায় আসে নিজের নাম দিয়ে খুললে কেমন হয়। প্রথম নামটি অথবা শেষের অংশটুকু দিয়ে কিংবা দুইয়ের মাঝে একটি বৈচিত্র সৃষ্টি করতে চান অনেকে।
কিন্তু, আপনি কী ধরনের ব্লগ খুলবেন তার উপরেও অনেকটা নির্ভর করে আপনি নিজের নাম নিবেন কি নিবেন না।
কখন আপনি নামের প্রথম ও শেষাংশ নিতে পারেনঃ
কোন বিষয়ে আপনি যখন নিজেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রমাণ করতে পারবেন
ধরা যাক, আপনি আপনার ক্ষেত্রে কোন কোচ কিংবা পরামর্শদাতা অথবা লেখক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তবে নিজের নামে ব্লগ খোলা সাধারণের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে। কেননা, আপনার অভিজ্ঞতা কিংবা বিশেষত্ব যাই বলুননা কেন, সেটিকে আপনি যদি ব্র্যান্ডে রূপান্তর করতে চান তবে নিজের নামটিই বেশি প্রাধান্য পাওয়া জরুরী ।
আপনি নানান বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন
কোন নির্দিষ্ট গণ্ডির ভেতর যদি আপনার লেখা না থাকে, আপনি অনেক কিছু নিয়েই লিখতে চান, তখনও নিজের নাম ব্যবহার করা যায়। কারণ, ভিন্ন কোন নাম কোন ভিন্ন অর্থ বহন করতে পারে যা হয়ত আপনার লেখার গন্ডিকে সীমাবদ্ধ করে ফেলবে। nateliason.com একটিখুব সুন্দর ব্লগ যেখানে ন্যাট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেন যেমন, দর্শন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য, ভ্রমণ এরকম অনেক কিছু। সাফল্যের জন্য আপনাকে যে শুধু একটি ক্ষেত্র বেছে নিতে হবে এমনটাও কিন্তু না।
আপনার ব্র্যান্ডিং আপনাকে এবং আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রাধান্য দিয়ে গড়া
প্রথমত, এটি সত্য যে আপনি এবং আপনার বিজনেস দুটি ভিন্ন সত্ত্বা। দুটোকে একই মাপকাঠিতে ফেলা তাই ঠিক হবেনা। কিন্তু আপনি যদি আপনার সতন্ত্র ব্যক্তিত্তকে আপনার ব্যবসায়ে ব্যবহার করতে চান, সব মিলিয়ে এটাও কিন্তু আপনার বিজনেসকে একটি ভিন্ন ও আকর্ষণীয় রূপ দিতে পারে।
আর কয়েক বছরে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে কোথায় দেখতে চান এ ব্যাপারে আপনার সচ্ছ ধারণা না থাকা
হয়ত কয়েক বছরের মাঝে আপনার অন্য কোন পরিকল্পনা আছে, এই ব্লগকে ঘিরেই যে আপনার যাবতীয় চিন্তাভাবনা, এমনটা নাও হতে পারে। ধরা যাক। একটি রান্নার ওয়েবসাইট দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে আপনার ইছহা হল পিন্টিং বিষয়ে ব্লগ করবেন। এক্ষেত্রেও নিজের নাম ব্যবহার সুবিধাজনক কেননা বিষয়ের ভিন্নতা আসলেও ব্লগের নামে নতুন করে পরিবর্তন আনার ঝামেলা এখানে নেই।
ডোমেইন নেইম পছন্দের ক্ষেত্রে আপনি সিধান্তহীনতায় ভুগছেন
ডোমেইন আপনি সবসময়ই বদলাতে পারবেন, কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার অপচয় হওয়া সময় ও শ্রম আপনি ফিরে পাবেন না। একারণে নিজের নাম দিয়ে আপনি ব্লগ চালিয়ে নিতেই পারেন।
কখন আপনি নিজের নাম ব্যবহার করবেন না
নামের উচ্চারণ কিংবা বানান কঠিন হলে-
আপনার নামের উচ্চারণ যদি সহজসাধ্য না হয় কিংবা এর বানানেও ঝামেলা থাকে তখন লোকের সার্চ দিয়ে তা খুজে পেতে অসুবিধা হবে, যা আপনার ব্লগের জন্য মঙ্গলজনক না। অযথা ঝামেলা বা হয়রানি থেকে মানুষকে মুক্ত দিতে কিংবা সহজে ব্লগটি খুজে পেতে নিজের কঠিন নাম ব্যবহার না করাই শ্রেয়। যদি আপনার নাম অনেক লম্বা হয় কিংবা দুর্বোধ্য বানান হয় তবে আপনি আপনার নামের প্রথম অংশের সমন্বয়ে একটি বৈচিত্র্য এনে দেখতে পারেন।
আপনি পরবর্তীতে আপনার সাইটটি বিক্রি করবার কথা ভাবছেন-
যদি আপনার এমন কোন পরিকল্পনা থেকে থাকে যে পরে যে কোন সময় আপনি সাইটটি বিক্রি করে দিবেন, তাহলে নিজের নাম ব্যবহার না করাই ভাল কারণ আপনার নামে কোন সাইট কিনতে কারো আগ্রহী হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
আপনার নাম পরিবর্তন করার কোন পরিকল্পনা থেকে থাকলে- যদি এমন হয় যে, আপনি আপনার নাম নিয়ে সন্তুষ্ট না এবং আপনার নাম বদলানোর কোন সম্ভাবনা ভবিষ্যতে আছে, কিংবা বিয়ের পর আপনি নামের শেষাংশ বদলালেন, তবে নাম দিয়ে ডোমেইন না খোলাই শ্রেয়।
নামের প্রথম ও শেষাংশ দিয়ে ডোমেইন খুলেছেন এমন অনেকেই আছেন এবং তাঁদের ব্লগ বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
তবে দিনশেষে সিধান্ত আপনারই নাম ব্যবহার করবেন, কি করবেন না।
আসুন তাহলে দেখা যাক কীভাবে সহজ সাতটি ধাপে পছন্দের ডোমেইনটি আপনি বেছে নিতে পারেন।
ধাপ ১ঃ ব্রেইনস্টরমিং
যেহেতু এতক্ষণে আপনি জেনে গেছেন কীভাবে আকর্ষণীয়ে ডোমেইন নেইম দেয়া যায় তাই এখন এ নিয়ে চিন্তাভাবনা আপনি শুরু করে দিতেই পারেন।
তবে আর দেরি কেন! কাগজ আর কলম নিয়ে বসে পড়ুন এবং ভাবতে থাকুন আপনার প্রোডাক্টের সাথে সম্পর্কিত নামগুলো কী কী হতে পারে।
প্রথমে ভাবনাগুলো কাগজে লিখে ফেলুন পরে গুছিয়ে তা ওয়ার্ড ফাইলে কিংবা গুগল ড্রাইভে তুলে ফেলতে পারেন।
যে নামগুলো আপনার পছন্দ হয় নি সেগুলো ফেলে না দিয়ে বরং লিস্টে রাখুন। মাথায় যা আসে তাই লিখে ফেলুন তা বিশেষ্য, বিশেষণ, ক্রিয়া যাই হোক না কেন। একেবারে পছন্দ না হলেও তা মাথা থেকে ফেলে দিবেন না, কাগজে লিখে ফেলুন, পরবর্তীতে তা আপনার ভাবনায় অনেক কাজে দিবে।
ধরা যাক আপনি একজন অ্যাথলেট, আপনি দৌড়ানোর উপর একটি ব্লগ খুলবেন। এর সাথে সম্পর্কিত শব্দগুলো কী হতে পারে? নিচের উদাহরণের সাহায্যে চলুন দেখিঃ
Running
Runner
Run
Runs
Fitness
Fit
Sweat
Go
Speed
Grit
Mile
Marathon
Fast
Pace
Fuel
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আপনার কীভাবে শুরু করতে হবে? তাহলে ঝটপট কাগজ হাতে নিয়ে শুরু করে দিন।
ধাপ ২ঃ থেজরাসের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়ান
লিস্ট তৈরী করার পর এখন আপনার হাতে অনেক শব্দই আছে। তাই আপনাকে এখন যা করতে হবে তা হল, প্রতিটে শব্দের সমার্থক শব্দ খুজে বের করা। www.thesaurus.comএ আপনি প্রতিটি শব্দের জন্যই অসংখ্ সমার্থক শব্দ পেয়ে যাবেন। আপনার কাঙ্খিত ডোমেইন নেইমকে সমৃদ্ধ করতে এর জুড়ি নেই।
আর আপনি যদি ওয়ার্ড ডকুমেন্টে কাজ করেন তাহলে তো কথাই নেই, শব্দটিকে হাইলাইট করে রাইটক্লিক করুন, তারপর সিনোনিম অপশনে ক্লিক করুন। ব্যাস, পেয়ে গেলেন বেশ কয়েকটি সমার্থক শব্দ।
যতগুলো শব্দ পান সবই টুকে রাখুন। মান যাচাইয়ের বিষয়টি এখনি আসছে না, আপনি কত বেশি শব্দ যোগাড় করতে পারছেন, সেটাই এখন মুখ্য। আপনার যত অপশন বেশি হবে তত সহজে আপনি সঠিক নামটি বাছাই করতে পারবেন।
ওয়ার্ড ফাইলে সিনোনিমের সিনোনিম বের করে নিন, তাহলে দেখা যাবে আরও বেশি বেশি সমার্থক শব্দ আপনি পাচ্ছেন।
নিচের উদাহরণটি খেয়াল করুনঃ
Running -> dynamic
Runner -> racer
Run -> race
Runs -> sprints
Fitness -> strength
Fit -> trained
Sweat -> perspiration
Go -> set o
Speed -> momentum
Grit -> daring
Mile -> no synonym
Marathon -> no synonym
Fast -> dashing
Pace -> motion
Fuel -> ignite
Coach -> trainer
Movement -> ow
Move -> propel
এভাবে সিনোনিম ও থেজরাসের সাহায্য নিয়ে যত গভীরে পারুন খুঁড়তে থাকুন। দেখবেন, কীভাবে পছন্দসই নামটি আপনি নিজের করে নিতে পারেন।
ধাপ ৩ঃ কানেক্টিং ওয়ার্ড যুক্ত করুন
এখন যেহেতু অনেক শব্দই আপনার হাতে আছে এবার কানেক্টিং ওয়ার্ড দিয়ে শব্দগুলো জুড়ে দেবার পালা। তাই আপনাকে যা করতে হবে তা হল,ওয়ার্ড ফাইলে শব্দগুলোর পাশে নতুন একটা কলাম খোলা। আপনি যদি চান আপনার ডোমেইন নেইমটি এক শব্দের বেশি হবে, তাহলে এ ধাপটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন কলামে লিঙ্কিং ওয়ার্ডগুলো এভাবে জুড়ে দিনঃ
For
Just
To
On
By
Keep
My
Of
ধাপ ৪ঃ কোন একটি প্রোগ্রামের সাহায্য নিন
কখনো কি এরকম মনে হয় না যে একটা জাদুর কাঠি নেড়ে দিলেন আর সবকিছু মনের মত হয়ে গেল? জি, ইন্টারনেটের এ যুগ কী বোর্ডে কয়েকটা টোকা দিয়ে আপনিও জাদুর কাঠি নাড়ার স্বাদ পেতে পারেন।
আপনি যদি এমন একটি ওয়েবসাইটের সন্ধান পান যা আপনার সব কাজ করে দিবে তাহলে তো দারুণ হয়! ইন্টারনেটে অসংখ্য ডোমেইন নেইম জেনারেটর আছে। তার মধ্যে অসাধারণ কিছু হলঃ
(http:/ /www.panabee.com/name-generator)Panabee (http:/ /www.panabee.com/name-generator) এবং Bust a Name (http:/ /www.bustaname.com/)
বাস্ট এ নেম আপনার লম্বা লিস্ট আর জয়নিং ওয়ার্ডের মিলিয়ে নতুন অনেকগুলো সম্ভাব্য ডোমেইন নেইম তৈরি করে দিবে। অন্যদিকে, পানাবি আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত শব্দটি খুজে বের করতে সাহায্য করবে কেননা, মাত্র দুটি কীওয়ার্ডের সাহায্যেই পানাবি আপনাকে এক সাথে অনেকগুলো বৈচিত্র্যময় নতুন শব্দের খোঁজ দিবে।
আপনার লিস্টের শব্দগুলো আর এর সাথে দেয়া লিঙ্কিং ওয়ার্ডগুলো বাস্ট এ নেম এ ইনপুট দিন আর নিজেই দেখে নিন প্রোগ্রামটি আপনার কাজকে কী সহজ করে দেয়।
এবার শব্দগুলো ইনপুট করার পর আপনাকে যে কয়টি কম্বিনেশন দেয়া হবে সেখান থেকে আপনি মনের মত অনেকগুলো ডোমেইন পছন্দ করতে পারবেন। যেগুলো পছন্দ হবে সেগুলো নিয়ে পানাবিতে নিজের একটি কাস্টোমাইজড লিস্ট তৈরি করুন।
ধাপ ৫ঃ আকর্ষণীয় শব্দটি খুঁজে বের করা
এক শব্দের ডোমেইনগুলো সাধারণত সবার আগেই বেশ ভাল দামে বিক্রি হয়ে যায়। তাই এগুলো সহজে পাওয়া যায় না। কিন্তু, পানাবিতে যদি তা না পান আর আপনি যদি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হন যে এক শব্দের ডোমেইন ই আপনার চাই; তবে আপনার যা করতে হবে তা হলঃ
১। অক্ষর কমিয়ে এর সঙ্গে সাফিক্স যুক্ত করে ডোমেইন তৈরি করা
২। এমন একটি শব্দ বের করুন যা আপনার ব্লগের বিষয়কে নির্দিষ্ট করে। যেমন, আপনি যদি রান্নার ব্লগ খুলতে চান তাহলে, food অথবা recipe শব্দ দুইটি এর সাথে সম্পর্কযুক্ত।
৩। যদি ভোকাল কমালেও শব্দের অর্থ বুঝতে সমস্যা না হয় তবে তাই করুন। যেমন; flickr.com
৪। শব্দের শেষে সাফিক্স যুক্ত করতে পারেন এভাবেঃ
“O” (backlinko.com)
“Ista”/ ”ist” (foodista.com)
“Ify” (shopify.com)
“Holic” (chocoholic.com)
“Able” (doable.com)
“Ish” (techish.com)
“Ite” (wanderite.com)
“Tastic”(runtastic.com)
“Ducate” (fooducate.com)
“Er” (stitcher.com)
“Licious” (wholesomelicious.com)
“Ic” (thinkic.com)
এভাবে যে নামটি শুনতে সুন্দর লাগে সেটিকে খুজে বের করতে পারেন।
ধাপ ৬ঃ লিস্ট ছাঁটাই
আপনার কাছে এখন অসংখ্য শব্দ, সমার্থক শব্দ, পানাবী ও বাস্ট আ ওয়ার্ডের স্মার্ট কম্বিনেশনের সমারোহ। এখন আপনার কাজ হল অপছন্দের শব্দগুলো ছাটাই করা।
কীভাবে ফিল্টার করবেনঃ
ফীল্টার ১ঃ তিন শব্দের বেশি লম্বা কীওয়ার্ডগুলো বাদ দিন।
ফীল্টার ২ঃ অসামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দগুলো বাদ দিন
ফীল্টার ৩ঃ জটিল শব্দগুলো লিস্ট থেকে মুছে ফেলুন
ফীল্টার ৪ঃ আপনার পছন্দসই নামগুলোর কাছাকাছি নামের ডোমেইন খুজে বের করুন, এবার সেই নামগুলো বাদ দিয়ে কপিক্যাট হওয়া থেকে বিরত থাকুন। ডোমেইন খুজতে গুগলের সাহায্য নিন।
ধাপ ৭ঃ এবার আপনার পছন্দের নামগুলোর ডোমেইন খুজে বের করুন
লিস্ট ছাটাই করার পরে এখন আপনার কাছে যোগ্য নামগুলো আছে। এখন আপনার দেখতে হবে এগুলো খালি আছে নাকি।
ইন্টেরনেটে অসংখ্য ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি এগুলো চেক করতে পারবেন তবে বাস্ট এ নেম এ খুব সহজেই তা করা যায়। এখান থেকে আপনি ডোমেইন কিনতেও পারবেন তবে প্রথমেই না কেনাটাই ভাল; এখন শুধু দেখুন ডোমেইনগুলো খালি আছে কিনা।
আপনার সবচেয়ে প্রিয় তিনটি ডোমেইন খালি আছে কিনা দেখুন।
এবার চূড়ান্ত বিজয়ীকে বাছাই করার পালা।
ধরা যাক, তিনটি ডোমেইন ই খালি আছে। তাহলে, এখন কীভাবে যোগ্য প্রার্থীকে বাছাই করবেন? নিচের কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেনঃ
১। এক্সটেনশনের মাধ্যমে ছাটাই করাঃ
এতক্ষণে আমরা জেনে গিয়েছি যে .com যে অত্যাবশ্যক তা না। কিন্তু, যদি আপনার পছন্দের ডোমেইন নেইমগুলোর একটি .com এ থাকে আরেকটি না থাকে তখন .com বেছে নেয়াই শ্রেয়।
২। নামের দৈর্ঘ্যর মাধ্যমে ছাটাইঃ
ডোমেইন নেইম যত ছোট ততই ভাল। আপনার যদি দুই অক্ষর আর তিন অক্ষরের শব্দের মাঝে বাছাই করার দরকার পড়ে তবে, দুই অক্ষরের শব্দ বেছে নেয়াটাই সঠিক হবে।
৩। দাম দেখে ছাঁটাইঃ
বেশি লম্বা নামেরডোমেইনগুলোর দাম সাধারণত বেশি হয়। তাই আপনার সাধ্যের মধ্যে থাকলে তা নিতে পারেন কিন্তু যেহেতু ছোট নামগুলোই সহজে সার্চ করে পাওয়া যায় আবার দামও নাগালের মাঝে তাই উত্তম হবে দাম দেখে যাচাই করা।
৪। ভোটাভুটির মাধ্যমেঃ
সোশ্যাল মিডিয়াতে কিংবা অন্য কোন ভাবে প্রিয়জনের মতামত জেনেও সঠিক ডোমেইনটি বাছাই করে নিতে পারেন যেমনঃ
বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজনের কাছ থেকে
ফেসবুক গ্রুপে
টুইটার ফলোয়ারদের থেকে
ইন্সটাগ্রাম স্টোরি তে পোল খুলে
পছন্দের ডোমেইনটি না থাকলে কী করবেন?
পছন্দের ডোমেইনটি যদি আপনার বাজেটের মধ্যে না থাকে বা এই নামের ডোমেইন পাওয়া না যায় তখনও কিন্তু আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন। যেমনঃ
একটি অক্ষর সরিয়েনিতে পারেন। যেমন প্যাট্রিক ফ্লিনের foodtrucker.com
শব্দের শেষ টা বদলিয়েও সুন্দর ডোমেইন বানানো যায়। unsettled এরবদলে unsettling করেদিতেপারেন।
ভিন্ন কোন এক্সটেনশন খুঁজে দেখুন।
নিজের ডোমেইনটি কেনা
এতসব কিছুর মধ্য দিয়ে শেষ হল ডোমেইন পছন্দের পালা। ডোমেইন বেছে নেয়া শেষ হলে এবার আমাদের কাজ হবে ডোমেইনটি কেনা। দুইভাবে আপনি এ কাজটি করতে পারেনঃ
১। স্বাধীন কোন ডোমেইন রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে ক্রয় করে
আপনার হোস্টিং সাইট থেকে আলাদা কোন ওয়েবসাইট থেকেও আপনি ডোমেইন কিনতে পারেন। যেমন namecheap.com অথবা hover.com। এইসাইট গুলোর বিশেষত্বই হল ডোমেইন নেইম বিক্রয় করায়।
এই সাইটগুলো থেকে ডোমেইন কিনার একটি ভাল সুবিধা হল, আপনার ডোমেইনের উপর নজরদারি করার সুবিধা আপনি পাচ্ছেন কেননা সাইটগুলো হোস্টিং সাইট থেকে আলাদা। হোস্টিং সরবরাহকারী থেকে আপনি যদি ভবিষ্যতে আলাদা হতে চান তবে এই সাইটগুলো থেকে ডোমেইন কিনাই শ্রেয় কেননা এখানে কোন ঝুঁকি থাকছে না। এই ছাড়া চাইলে আমাদের কাছেও নিতে পারেন ।
লেখকঃ শামসুল আলম রাজ
CEO & Digital Branding Specialist
BD Growth Hacker Marketing

Post a Comment

0 Comments