কথা বলা রোবট ‘বঙ্গ’ তৈরি করলো কলেজ ছাত্র! | Robot Bongo | Robot Sophia | Somoy TV | 71 tv
এবার রোবট 'সোফিয়া'র অনুকরণে 'বঙ্গ' নামে রোবট তৈরী করেছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত সিহিপাশা এলাকার একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুজন পাল। সুজনের দাবী, এই রোবট দৈনন্দিন জনজীবনে নানা কাজে মানুষের উপকারে আসবে। রোবটটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভীর করছে দূর দূরান্তের মানুষ। এটির উন্নয়নে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দাবী করেছেন উদ্ভাবক। এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর ফোন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রোবট পরিদর্শন
নিকটস্থ কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসকে সেই খবর জানাবে রোবট ‘বঙ্গ’। গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হলেও বিশেষ সংকেতের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেবে ঘরের লোকজনকে। এ ছাড়া রোবট ‘বঙ্গ’কে শিক্ষক, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান এবং কৃষিবিষয়ক পরামর্শমূলক কাজেও ব্যবহার করা যাবে। যে কোনো প্রশ্নে গুগল কিংবা উইকিপিডিয়া থেকে খুঁজে তাৎক্ষণিক উত্তর দেবে ‘বঙ্গ’। বাংলা, আঞ্চলিক ভাষা এবং ইংরেজিতেও উত্তর দিতে পারে রোবট ‘বঙ্গ’। সম্প্রতি তৈরি করা বিশেষ রোবট ‘বঙ্গ’-এর মাধ্যমে এসব সুবিধা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন এর উদ্ভাবক বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের খুদে বিজ্ঞানী সুজন পাল। গত ২১ মার্চ ‘বঙ্গ’র সফল উদ্ভাবনের কথা প্রকাশ করেন সুজন। তিনি জানান, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসে বিশেষ রোবট ‘সোফিয়া’। সোফিয়াকে নিয়ে তখন সারা দেশে হৈচৈ পড়ে যায়। বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে সুজনকে। তখন থেকে সোফিয়ার মতো কিছু একটা আবিষ্কারের চিন্তা মাথায় আসে তার। এরপর দীর্ঘ চেষ্টায় সফল হন তিনি। পিভিসি সিট দিয়ে শারীরিক অবকাঠামো তৈরি হয় ‘বঙ্গের’। রয়েছে দুটি হাত। আবার হাতও নাড়াতে পারে ‘বঙ্গ’। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে মাত্র ৪০ হাজার টাকা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির জনকের নামও বলতে পারে রোবট ‘বঙ্গ’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে রোবটটির সফল উদ্ভাবন করায় সুজন পাল এর নাম দিয়েছেন ‘বঙ্গ’। এখন এটির আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। রোবটটিকে দিয়ে অনেক জরুরি প্রয়োজন মেটানো সম্ভব দাবি সুজনের। তিনি আরও জানান, সরকার এটির উন্নয়নে এগিয়ে এলে রোবট ‘বঙ্গ’ মানব কল্যাণে কাজ করতে পারবে। রোবট আবিষ্কারের খবর জানাজানির পর সুজনের বাড়িতে এটি দেখার জন্য প্রতিদিনই ভিড় করছে আশপাশের মানুষ। সবাই তার উদ্ভাবন দেখে বিস্মিত হন। এতে আনন্দ পান সুজন। সুজনের আবিষ্কারে খুশি তার বাবা-মা এবং প্রতিবেশীরা। তার এই উদ্যোগ মানব কল্যাণে কাজে লাগাতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন তারা।
জেলার গৌরনদী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছেন সুজন। ২০২০ সালে সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। আগৈলঝাড়া গৈলা ইউনিয়নের উত্তর সিহিপাশা গ্রামের জয়দেব চন্দ্র পাল ও সবিতা রানী পাল দম্পতির তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। বাবা মৃৎ (পাল) শিল্পী এবং মা গৃহিণী। ভবিষ্যতে রোবট নিয়ে আরও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা রয়েছে তার। এ বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, খুদে বিজ্ঞানী সুজন পালের উদ্ভাবনের কথা আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শুনেছেন। সরকার তার মতো মেধাবী ও উদ্ভাবকদের খুঁজছে। সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.