ভারতের নাগরিকদের ব্যক্তিগত কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে দেশের ১০টি গোয়েন্দা সংস্থাকে সম্মতি দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি চালাতে পারবে আইবি, নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট, সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্স, ডাইরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স, সিবিআই, এনআইএ, র, ডাইরেক্টরেট অব সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স। এ ছাড়া দিল্লির পুলিশ কমিশনারও যে–কারও কম্পিউটারের ওপরে নজরদারি চালাতে পারবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই এমনটা করা হয়েছে। আইনটি তৈরি হয়েছিল ২০০৯ সালে মনমোহন সিংয়ের সময়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নজরদারির অনুমতি দেবেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১০টি তদন্ত সংস্থা দেশের যেকোনো কম্পিউটারে হানা দিতে পারবে—এ কথা জানার পর রাজনৈতিক মহলে তুমুল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ভারতকে পুলিশ–নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছেন মোদিজি। এক বিলিয়ন মানুষের দেশকে তিনি নিজের মনোভাব বুঝিয়ে দেবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভীত শাসক বলেও মন্তব্য করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি চিন্তিত। সাধারণের কম্পিউটারে নজরদারি চালানো হবে। ব্যক্তিগত তথ্য ও ব্যবসায়িক তথ্য কি দিয়ে দেবেন? কারও কি ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকবে না?’
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তৈরি করা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হয়েছে।
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.