সহ’বাসে অ’সম্মতি স্ত্রী’, ভ’য়ানক কা’ণ্ড ঘ’টালেন স্বামী

 


স’হ’বাসে অসম্মতি, ভাত বেড়ে না দেয়া ও সন্তানকে মা’রধ’র করায় স্ত্রী’কে গ’লাকে’টে হ’ত্যা করলেন স্বামী ওম’র ফারুক। পু’লিশের কাছে হ’ত্যার কথা স্বী’কার করেছেন তিনি।সোমবার রাতে ঘ’টনাটি ঘ’টেছে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজে’লার মধ্যম বলিপাড়ায়। নি’হত রাশেদা বেগম একই উপজে’লার উত্তর লামকুপাড়ার বাসিন্দা আবু সৈয়দের মে’য়ে। ওম’র ফারুক বলিপাড়ার বা’সি’ন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছে’লে।

এএসপি (রামগড় সার্কেল) সৈয়দ মো. ফরহাদ জানান, আ’দালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বী”কারো”ক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দিতেও রা’জি হন আ’সা’মি। ওম’র ফারুককে খাগড়াছড়ি জে’লা ম্যাজিস্ট্রেট আ’দা’লতে নেয়া হবে।

পু’লিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে ওম’র ফারুক জানান, সোমবার রাতে বাথরুমে যান স্ত্রী’ রাশেদা বেগম। পরে সেখান থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী’র ঘা’ড়ে কো’প দেন তিনি। এতে রাশেদা মাটিতে লু’টি’য়ে পড়েন। পরে তার গলা কে’টে হ’ত্যা করে দা ধু’য়ে ছাগলের ঘরে লু’কি’য়ে রাখেন।তিনি আরো জানান, স্ত্রী’ রাশেদা সবসময় কারণে-অকারণে তার সঙ্গে ঝ’গ’ড়া করতো। তাকে ভাত বেড়ে দিতো না। একমাত্র ছে’লে সন্তানকে মা’রধ’র করতো। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সহ’বা’সে অ’স’ম্মতি জানাচ্ছিল। এসব কারণেই রাশেদাকে হ’ত্যার সিদ্ধান্ত নেন ফারুক।

নি’হতের বাবা আবু সৈয়দ বলেন, প্রায় তিন বছর আগে ওম’র ফারুকের সঙ্গে রাশেদার বিয়ে হয়। ফারুক স্থানীয় সে’নাইপুল বাজারের ফল ব্যবসায়ী। তাদের ২০ মাসের একটি ছে’লে সন্তান রয়েছে। ছয়-সাত মাস ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে কলহ চলছিল। রাশেদাকে মা’রধর করায় কয়েক মাস আগে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে সা’লি’সও হয়। সোমবার রাতেও তাদের ঝ’গ’ড়া হয়েছে।তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ফারুকের ছোট ভাই করো’নায় আ’ক্রান্ত হন। এরপর স্বামী ও ছে’লেকে নিয়ে ২৮ দিনের মতো আমাদের বাড়িতে ছিল মে’য়ে রাশেদা। ১০-১২ দিন আগে রাশেদা শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যায়।

রামগড় থা’নার ও’সি মোহাম্ম’দ শামছুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ম’রদেহ উ’দ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহে খু’ন হওয়ার স’ন্দেহ স্বামী ওম’র ফরুক, শাশুড়ি জোহরা বেগম রানী, দেবর শরিফ, ননদ আ’মেনা ও জান্নাতকে আ’ট’ক করা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হ’ত্যাকা’ণ্ডে ব্যবহৃত দা, স্বামীর র’ক্তমাখা লুঙ্গি ইত্যাদি আ’লা’মত উ’দ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কৌ’শ’ল হিসেবে ওম’র ফারুককে পু’লিশ পা’হারায় হা’স’পাতা’লে রাখা হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে থা’নায় এনে তাকে জি’জ্ঞা’সাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি অ’পক’টে হ’ত্যা’র কথা স্বী’কা’র করেন। আ’দা’লতের কাছে ১৬৪ ধা’রা’য় স্বীকারোক্তিমূলক জ’বা’নব’ন্দি দিতেও তিনি রাজি হয়েছেন। এ ঘটনায় থা’নায় হ’’ত্যা মা’’ম’লা করেছেন নি’হ’তের বাবা।

Post a Comment

0 Comments