শ্বশুর ভাসুর দেবরের কুকীর্তি ভিডিও করলেন গৃহবধূ! শ্বশুর, ভাসুর ও দেবরের বিরুদ্ধে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ তুললেও তা বিশ্বাস করতে চাননি নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী।
অবশেষে ধর্ষণের প্রমাণ দেখাতে গোপনে নিজের মোবাইলে তা ভিডিও করে রাখেন ওই গৃহবধূ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। কিন্তু এর পর তার স্বামীকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এক আত্মীয়ের সাহায্যে পালিয়ে পুলিশে এমন অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ। তদন্তে নেমে গৃহবধূর শ্বশুর ও দুই দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ভাসুর পলাতক।
এ অভিযোগে শনিবার বিকালে ইটাহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, মাস আটেক আগে ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। প্রায় তিন মাস আগে গৃহবধূর স্বামী কাজ করতে বাইরে যাওয়ার পর তাকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর কৈলাস চৌধুরী। সে কথা কাউকে জানালে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় শ্বশুর। ঘটনার কথা স্বামীকে জানালেও তা বিশ্বাস করেননি তিনি। এর কদিন পর ভাসুর রঞ্জিত চৌধুরীও গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
তার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ধর্ষণ চলতে থাকে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ। তার আরও অভিযোগ— শ্বশুর ও ভাসুর ছাড়াও দুই দেবর দেবাশিস এবং সুভাষ চৌধুরীও সুযোগ পেলেই তাকে ধর্ষণ করত। এমনকি এ নিয়ে মুখ খুললে তাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হতো বলে ওই গৃহবধূর দাবি। পুলিশের কাছে ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, গত শুক্রবার নিজের মোবাইল লুকিয়ে রেখে তাতে শ্বশুরের কাছে ধর্ষিতা হওয়ার ভিডিও করেন তিনি৷ শনিবার এ ঘটনার কথা জানার পর প্রতিবাদ করেন তার স্বামী। এর পর তার স্বামীকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে শ্বশুর। তবে সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পাশের গ্রামে নিজের বাপের বাড়ির এক আত্মীয়ের সাহায্য নিয়ে ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। সেই ধর্ষণের ভিডিও থানায় জমা দেন তিনি। গৃহবধূর অভিযোগ ও ভিডিও দেখে শনিবার শ্বশুর এবং দুই দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যায় ভাসুর। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ।
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.