ঘরের জন্যে ফার্নিচার যেমন অত্যাবশ্যকীয় আসবাব, তেমনি এটি ঘরের সৌন্দর্য্যকেও বাড়িয়ে তোলে কয়েক গুণ। ফার্নিচার ছাড়া ঘর বা অফিস কোনটাকেই সুন্দরভাবে সাজানো যায় না। মানুষ তাই স্বাভাবিকভাবেই ফার্নিচারের প্রতি প্রবলভাবে দূর্বল। বিশেষ করে, মেয়েরা ফার্নিচার ছাড়া কোনও ঘরের কথা কল্পণাও করতে পারে না।
তাদের কল্পণায় রং মাখিয়ে রাঙিয়ে তোলে যারা, তারা হলো ফার্নিচার কোম্পানী। নিত্য নতুন ডিজাইন আর চমৎকার কারুকাজ নিয়ে তৈরি করা আসবাব-পত্র দিয়ে এই সব কোম্পানী প্রতিনিয়তই আমাদের বাসা, বাড়ি, অফিসকে করে তোলে সৌন্দর্য্যের আধার।
বাংলাদেশে অসংখ্য ফার্নিচার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী রয়েছে। এদের মাঝে কিছু কোম্পানী আছে যারা বিশ্ব মানের আসবাবপত্র তৈরি করে থাকে। এমনকি, কিছু কোম্পানী দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ফার্নিচার রপ্তানি করে থাকে। আসুন, এ-রকম কিছু আন্তর্জাতিক মানের দেশীয় ফার্নিচার কোম্পানী সম্পর্কে জানা যাক।
বাংলাদেশের সেরা ফার্নিচার কোম্পানী
এর আগে আমরা যে-সব বাজারে কম দামে পুরনো ফার্নিচার পাওয়া যায়, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। আর আজকের পোস্টে থাকছে দেশের সেরা কিছু ফার্নিচার কোম্পানী সম্পর্কে ছোট্ট আলোচনা।
১. Otobi Furniture Limited
- ফোন: 8833151-60, 9863219-20, 9862370
- ওয়েবসাইট: Otobi Dot Com
- ই-মেইল: info@otobi.com
- ফেসবুক পেজ: Otobi Limited
অটোবি মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত, উভয় শ্রেণীর মানুষের জন্যে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য লাইফ স্টাইল সলিউশন নিয়ে হাজির হওয়া অন্যতম সেরা ফার্নিচার কোম্পানী। আধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাপাসিটি, উন্নত ও উদ্ভাবণী ডিজাইন এবং বিশাল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের জন্যে অটোবি যেমন বিখ্যাত, তেমনই গ্রাহকদের আস্থাভাজন।
ঢাকায় অটোবির শো-রুম সমূহ-
- গুলশান ১, ঢাকা।
- উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা।
- কাওরান বাজার, পান্থপথ, ঢাকা।
- ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা।
- দিলকুশা, মতিঝিল, ঢাকা।
- শেওড়াপাড়া, ঢাকা।
- মিরপুর ২, ঢাকা।
- ওয়ারী, ঢাকা।
- সিদ্বেশ্বরী, মালিবাগ, ঢাকা।
- নিউ মার্কেট, সাভার, ঢাকা।
ঢাকার বাইরে অটোবির শো-রুম সমূহ-
- মির্জা বাজার, সিলেট।
- নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম।
- বজরা বাজার, নোয়াখালী।
- কোতোয়ালী, বরিশাল।
২. Navana Furniture Limited
- ফোন: 01729245483
- ওয়েবসাইট: Navana Furniture
- ই-মেইল: sales@navanafurniture.com, customercare@navanafurniture.com
- ফেসবুক পেজ: Navana Furniture Ltd
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া নাভানা গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন হিসেবে নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড যাত্রা শুরু করে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের বাড়িতে সৌন্দর্য্য সৃষ্টিতে শক্ত একটি জায়গা করে নেয় কোম্পানীটি। গ্রাহকের প্রয়োজন আর সন্তুষ্টিকে সামনে রেখে অনেক ইউনিক ডিজাইনের ফার্নিচার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানীটির রয়েছে অনেকগুলো শোরুম।
ঢাকায় নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড এর শো-রুম সমূহ-
- উত্তরা, ঢাকা।
- রামপুরা, ঢাকা।
- কাকরাইল, ঢাকা।
- পান্থপথ, ঢাকা।
- কাজীপাড়া, ঢাকা।
ঢাকার বাইরে নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড এর শো-রুম সমূহ-
- আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম।
- তেতুলিয়া, পঞ্চগড়।
- ক্যান্টনমেন্ট, রংপুর।
- মেইন রোড, নওগাঁ।
- কদমতলা মোড়, রাজশাহী।
- নগর ভবন রোড, মানিকগঞ্জ।
৩. Hatil Furniture Limited
- কর্পোরেট অফিস: ১৩১৪, রোকেয়া স্বরণী, মনিপুর, কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।
- ফোন: 09 678 777 777
- ওয়েবসাইট: Hatil Furniture
- ই-মেইল: info@hatil.com
- ফেসবুক পেজ: Hatil BD
বাংলাদেশের ফার্নিচার ইন্ড্রাস্ট্রিতে হাতিলকে অন্যতম সেরা গেম চেঞ্জার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কাঁচা মাল নির্বাচনের সতর্কতা, পরিবেশ বান্ধব বিজনেস প্র্যাকটিস এবং গ্রাহকদের প্রয়োজন কেন্দ্রীক দৃষ্টিভঙ্গি হাতিলকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফার্নিচার ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ঢাকায় হাতিল ফার্নিচার এর শো-রুম সমূহ-
- বারিধারা, বসুন্ধরা, ঢাকা।
- ধানমন্ডি, ঢাকা।
- রামপুরা, ঢাকা।
- খিলগাঁও, ঢাকা।
- টিকাটুলি, ঢাকা।
- শ্যামলী, ঢাকা।
- মিরপুর, ঢাকা।
- শান্তিনগর, ঢাকা।
- তেজগাঁও, ঢাকা।
- মোহাম্মাদপুর, ঢাকা।
- পান্থপথ, ঢাকা।
- উত্তরা, ঢাকা।
- বাড্ডা, ঢাকা।
- এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা।
ঢাকার বাইরে হাতিল ফার্নিচার এর শো-রুম সমূহ-
- আলীপুর গোরস্থান মোড়, ফরিদপুর।
- ডিসি রোড, গোপালগঞ্জ।
- মাধবদী, নরসিংদী।
- প্রেস ক্লাব, মানিকগঞ্জ।
- পঞ্চগড়, মুন্সীগঞ্জ।
- লিংক রোড, নারায়ণগঞ্জ।
- সদর রোড, জামালপুর।
৪. Partex Furniture Industries Limited
- কর্পোরেট অফিস: হরিপুর, মদনপুর, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ।
- ফোন: 01708462391
- ওয়েবসাইট: Partex Furniture
- ই-মেইল: furniture@psgbd.com
- ফেসবুক পেজ: PARTEXfurniture
ফার্নিচার জগতের আরেকটি বিশ্বস্ত নাম পারটেক্স ফার্নিচার লিমিটেড। এটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফার্নিচার কোম্পানী যা মূলত পারটেক্স স্টার গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন। হিউজ ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাপাসিটি, ইউনিক স্টাইল ও সিগনিফিকেন্ট ডিজাইন নিয়ে মানুষের মনে জায়গা পাওয়া এই ফার্নিচার কোম্পানীটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ঢাকায় হাতিল ফার্নিচার এর শো-রুম সমূহ-
- জসিম উদ্দিন রোড, উত্তরা, ঢাকা।
- সোনারগাঁও জনপথ, উত্তরা, ঢাকা।
- বশিলা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
- শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মগবাজার, ঢাকা।
- কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।
- গুলশান লিংক রোড, তেজগাঁও, ঢাকা।
ঢাকার বাইরে হাতিল ফার্নিচার এর শো-রুম সমূহ-
- জয়দেবপুর চৌরাস্তা, গাজীপুর।
- আর্মি মার্কেট, নারায়ণগঞ্জ।
- শহীদ রফিক সড়ক, মানিকগঞ্জ।
- ধূপখোলা মোড়, ময়মনসিংহ।
- দয়ামোড়, জামালপুর।
- হালিশহর, চট্টগ্রাম।
- চৌমুহনী, নোয়াখালী।
- শাদ স্বরণী রোড, সাতক্ষিরা সদর, সাতক্ষিরা।
- খান জাহান আলী রোড, বাগেরহাঁট।
৫. Akhtar Furnishers
- কর্পোরেট অফিস: ৬৬ প্রগতি স্বরণী, বারিধারা, ঢাকা-১২১২।
- ফোন: 881386
- ওয়েবসাইট: Akter Group
- ই-মেইল: info@akhtargroup.com.bd
- ফেসবুক পেজ: Akhtar Furnishers
১৯৭৬ সালে ছোট্ট একটি ফার্নিচার দোকান দিয়ে শুরু করা আখতার ফার্নিশার্স এখন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফার্নিচার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী। হাই-কোয়ালিটির প্রোডাক্ট আর ইনোভেটিভ ও ইউনিক ডিজাইন দিয়ে ঘরের সৌন্দর্য্য পিপাসুদের মনে জায়গা করে নিয়ে কে.এম. আখতারুজ্জামানের প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানীটি।
ঢাকায় হাতিল ফার্নিচার এর শো-রুম সমূহ-
- ভাটারা, বারিধারা, ঢাকা।
- প্রগতি স্বরণী, বারিধারা, ঢাকা।
- উত্তরা, ঢাকা।
- জিগাতলা, ধানমন্ডি, ঢাকা।
- গুলশান, ঢাকা।
- যাত্রাবাড়ি, ঢাকা।
- কাজীপড়া, মিরপুর, ঢাকা।
- সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা।
ঢাকার বাইরে হাতিল ফার্নিচার এর শো-রুম সমূহ-
- সিংহাইর, মানিকগঞ্জ।
- জেলসুরিটোলা, বজরা।
- টি এ রোড, বাম্মণবাড়িয়া।
- ফেনী রোড, চৌমুহনী।
- ভোলা ট্যাংক রোড, যশোর।
বাংলাদেশের সেরা ফার্নিচার কোম্পানী হিসেবে উপরোক্ত ৫টি ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেন। আশা করি, ফার্নিচার কিনতে গেলে আগে এই সব কোম্পানীটিতে ঢুঁ মারবেন। আর যেহেতু প্রতিটি কোম্পানীর ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজের অ্যাড্রেস দেয়া আছে, কাজেই অনলাইনেই আপনি ফার্নিচার দেখতে পারবেন, দাম যাছাই করতে পারবেন, এমনকি কেনা-কাটাও করতে পারবেন।
নতুন ফার্নিচার দিয়ে ঘর সাজানোর স্বপ্ন দেখেন সকলেই। বিশেষ করে, যারা নব-দম্পত্তি, মাত্র বিয়ে করেছেন আর ঘর সাজানোর কথা ভাবছেন। কিন্তু বিয়ে করা মাত্রই তো আর ভাগ্য বদলে যায় না। তাই, সামর্থ্যের অভাবে অনেকেই নতুন ফার্ণিচর দিয়ে স্বপ্ন সাজাতে পারেন না। তাদের ভরসা কম দামে পুরনো ফার্নিচার যা অনেক সময় নতুন হিসেবেই পাওয়া যায়।
পুরনো ফার্নিচার মানেই যে পুরনো বা বহুল ব্যবহৃত, এমন নয়। বরং, প্রায়ই এমন সব পুরনো ফার্নিচার পাওয়া যায় যেগুলো খুব একটা ব্যবহৃত হয়নি। হয়তো কোনও দম্পত্তি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফার্নিচার কোম্পানী থেকে অনেক টাকা খরচ করে সুন্দর সুন্দর অনেক ফার্নিচার বানিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ এমন বিপদে পড়েছে যে টাকা পয়সার অভাবে ঘরের আসবাব-পত্র বিক্রি করে দিয়েছে।
তাদের কাছে ফার্নিচারগুলো কম দামে কিনে এনেছে কোনও এক ব্যবসায়ী। আর এখন সে কিছুটা লাভ রেখে আবার সেগুলো কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই হচ্ছে মূলত পুরনো ফার্নিচারের বাজার। তবে, এ-সব বাজারে অনেকদিন ব্যবহৃত ফার্নিচারও পাওয়া যায় যেগুলোর দাম একেবারেই কম। অল্প কিছুদিন ব্যবহৃত হয়েছে এমন ফার্নিচারের দাম মাঝামাঝি। আর যে ফার্নিচারগুলো খুব একটা ব্যবহৃত হয়নি, সেগুলোর দাম অন্যগুলোর চেয়ে একটু বেশি হলেও অনেকেরই হাতের নাগালে।
আসুন, এ-রকম কিছু বাজারের সঙ্গ পরিচিত হওয়া যাক যেখানে আপনি কম দামে অনেক ভাল ভাল ফার্নিচার পাবেন। পুরনো ফার্নিচারের মধ্যে কি কি পাওয়া যায়? সিঙ্গেল খাট, ডাবল খাট, সেমি ডাবল খাট, জাহাজের খাট, ছোট আলমারি, বড় আলমারি, বিভিন্ন সাইজের ড্রেসিং টেবিল,, বিভিন্ন সাইজ ও ডিজাইনের ওয়্যারড্রব, সোফা সেট, বিভিন্ন রকমের শোকেইস, কাঠের বুক সেলফ্, গ্লাস কিংবা মেটালের বুক সেলফ্ডা, ইনিং টেবিল ও চেয়ার এবং ফুল সেট, শ্যু র্যাক, ইত্যাদি।
পুরনো ফার্নিচারের দাম কেমন? বিভিন্ন ধরণের পুরনো ফার্নিচারের দাম নির্ভর করছে সেগুলোর অবস্থার উপর। যদি খুব বেশি পুরনো হয়, তবে দাম থাকে কম। নতুনের মতো হলে দাম একটু বেশি হয়। আবার, ডিজাইন ও কারুকার্যের উপর নির্ভর করেও দামের কম-বেশি হয়ে থাকে। তবে, আমরা এখানে অ্যাভারেজ একটা দামের আইডিয়া দিচ্ছি-
সিঙ্গেল খাট-ক্যাটেগরি-১: ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা। সিঙ্গেল খাট-ক্যাটেগরি-২: ৩০০০ থেকে ২০০০০ টাকা। ডাবল খাট-ক্যাটেগরি-১:: ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। ডাবল খাট-ক্যাটেগরি-২:: ৫০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা। সেমি ডাবল খাট: ৪০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা। ওয়্যারড্রোব-ক্যাটেগরি-১: ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। ওয়্যারড্রোব-ক্যাটেগরি-১: ৪০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা।
আলমারি-ক্যাটেগরি-১: ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। আলমারি-ক্যাটেগরি-২: ১০০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা। ডাইনিং টেবিল: ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ডাইনিং টেবিলের চেয়ার: ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। ডাইনিং টেবিল সেট-ক্যাটেগরি-১: ২৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা। ডাইনিং টেবিল সেট-ক্যাটেগরি-২: ৫০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা।
নোট: এখানে দামের যে আইডিয়া দেয়া হলো তা কিন্তু নিশ্চিত নয়, কম/বেশি হতে পারে, এমনকি অনেক কম কিংবা অনেক বেশিও হতে পারে। আপনাকে যেটা করতে হবে, সেটা হচ্ছে সরেজমিনে দেখে কেনা। এবার আসুন, জানা যাক কোথা থেকে কিনবেন। কম দামে পুরনো ফার্নিচার কিনবেন কোথা থেকে?
১. পান্থপথ: ঢাকা ঢাকার সবচেয়ে বড় পুরনো ফার্নিচারের মার্কেট পান্থপথে অবস্থিত। কাওরান বাজারের মাথা থেকে শুরু করে একেবারে পান্থপথের শেষ মাথা পর্যন্ত একটানা অসংখ্য ফার্নিচারের দোকান দেখা যায়। বসুন্ধরা সিটির উল্টো পাশের এই দোকানগুলোতে একদিকে যেমন পুরনো ফার্নিচার পাওয়া যায়, অন্যদিকে নতুন ফার্নিচারের পাশাপাশি জাহাজের ফার্নিচারও কেনা-বেচা হয়। নোট: মঙ্গলবার বন্ধ থাকে।
২. সেগুনবাগিচা: ঢাকা পুরনো ফার্নিচারের জন্যে আরেকটি ঐতিহ্যবাহী স্থান ঢাকার সেগুনবাগিচা। তবে, পান্থপথের দোকানগুলো যেমন সিরিয়ালে সাজানো, সেগুনবাগিচায় সে-রকম নয়। এখানকার ফার্নিচারের দোকানগুলো বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত। শিল্পকলা একাডেমীর পাশ থেকে শুরু করে সেগুনবাগিচার প্রায় সবটা জুড়েই রয়েছে অসংখ্য ফার্নিচারের দোকান। এতে আপনাকে হয়তো একটু বেশি ঘুরা-ফেরা করতে হতে পারে। কিন্তু আপনি অবশ্যই পান্থপথের চেয়ে অনেক কম দামে এখান থেকে ফার্নিচার কিনতে পারবেন। নোট: শুক্রবার বন্ধ থাকে।
৩. মিরপুর, ঢাকা: পুরনো হোক আর নতুন হোক, ফার্নিচারের জন্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত এলাকা কিন্তু মিরপুর। ঢাকার জনবহুল এই এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে নতুন পুরনো ফার্নিচারের দোকান। তবে, পুরনো ফার্নিচারের জন্যে মিরপুরের যে-সব এলাকা সবচেয়ে বেশি পরিচিত সেগুলো হলো মিরপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর-২। নোট: ভিন্ন এলাকা ভিন্ন ভিন্ন দিন বন্ধ, যাওয়ার আগে জেনে নিন
৪. গুলশান, নাভানা টাওয়ারের বিপরীতে: ভাবছেন, গুলশানে আবার পুরনো ফার্নিচার কিনতে যাবে কে! দেখে অবাকই হবেন যে অন্যান্য বাজারের তুলনায় বরং এখানকার ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। তবে, এখানে বাসা-বাড়ির ফার্নিচারের চেয়ে অফিস-আদালতের ফার্নিচার বেশি পাওয়া যায়। নোট: প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে।
৫. কচুক্ষেত, ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা: ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেতে যারা থাকেন, তারা জানেন যে শাপলা চত্বরের সামনে রয়েছে বিশাল একটি ফার্নিচার মার্কেট। আর এই মার্কেটে শুধু কচুক্ষেত বা ক্যান্টমেন্টের লোকেরাই, বরং আশে-পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে পুরনো ও নতুন ফার্নিচার কিনে নিয়ে যান। নোট: প্রতি বুধবার বন্ধ থাকে।
৬. নয়াবাজার, ঢাকা: পুরান ঢাকার নয়াবাজারে কাঠপট্টি নামে একটি বড় মার্কেট রয়েছে। আর এই মার্কেটেও পাওয়া যায় সুন্দর সুন্দর পুরনো ফার্নিচার। এই বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে পুরান ঢাকার লোকজন ছাড়াও রয়েছে বুড়িগঙ্গার ওপারের বসবাসকারিরা। নোট: নয়াবাজারের কাঠপট্টি শুক্রবার বন্ধ থাকে।
৭. মোহাম্মদপুর, ঢাকা: নতুন ও পুরনো সব ধরণের ফার্নিচারের জন্যেই মোহাম্মদপুর বেশ বিখ্যাত। মোহাম্মদপুরের প্রায় সব এলাকাতেই ছোট বড় অনেক ফার্নিচারের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। তবে, পুরনো ফার্নিচারের জন্যে বিশেষভাবে বিখ্যাত টাউনহলের পাশের শহীদ পার্ক। এই পার্কের মাঠের চারপাশে অগণিত পুরনো ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। নোট: বন্ধ থাকে প্রতি বৃহস্প্রতিবার।
৮. আজিমপুর, ঢাকা: ঢাকার আজিমপুরেও বেশ কিছু পুরনো ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। তবে, সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের পাশে অবস্থিত বড় ফার্নিচার মার্কেটটিতে। নোট: শুক্রবারে গেলে পস্তাবেন, কারণ এই দিন বন্ধ থাকে।
৯. যাত্রাবাড়ী, ঢাকা: ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে রয়েছে কয়েকটি পুরনো ফার্নিচারের দোকান। তার মাঝে ১৬৮ ও ১৭২/২ উত্তর যাত্রাবাড়ীতে সবচেয়ে বেশি দোকান দেখতে পাওয়া যায়। ১০. ঢাকার অন্যান্য এলাকা: ঢাকার আরামবাগ, মিরপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে, কুড়িল বসুন্ধরা, বাড্ডা ও উত্তরায় রয়েছে পুরনো ফার্নিচারের দোকান।
গুণগত মান ভালো হওয়ায় আমদানি করা ফার্নিচারের চেয়ে দেশি ফার্নিচারের চাহিদা বেশি। তবে আমদানি করা ফার্নিচারের দাম দেশি ফার্নিচারের চেয়ে কম হওয়ায় সীমিত আয়ের অনেকেই আমদানি করা ফার্নিচার কিনছেন। তবে অর্থনৈতিভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা নিজেদের বাসাবাড়ি এবং অফিসের জন্য দেশি ব্র্যান্ডের ফার্নিচার একটির সঙ্গে অন্যটি মিলিয়ে সেট ধরে কিনছেন। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পান্থপথ এবং মিরপুর এলাকা সরেজমিনে ঘুরে ফার্নিচার বেচাকেনার এমন চিত্র দেখা যায়।
এসব এলাকায় ব্র্যান্ডের ফার্নিচারের মধ্যে আখতার, ব্রাদার্স, হাতিল, নাভানা, নাবিলা, নিউ এথেনটিক, পারটেক্স, অটবি, নাদিয়া, উড মার্কস, গ্রিন ফার্নিচার, উডি রিজন্সসহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। ব্র্যান্ডের বাইরে বিভিন্ন ধরনের বোর্ডের ফার্নিচার, স্টিলের ও বেতের ফার্নিচার রয়েছে।
ব্র্যান্ডের প্রতিটি দোকানে বাসাবাড়ি এবং অফিসে ব্যবহার উপযোগী সব ধরনের ফার্নিচার প্রদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে শোবারঘরের খাট, টেবিল-চেয়ার, ড্রেসিং টেবিল, আলমারি, টিভি ট্রলি, বুকশেলফ, থালা-বাসন রাখার আলমারি, ওভেন রাখার তাক, আলনা, জুতার র্যাকসহ প্রায় সব ধরনের ফার্নিচারই আছে। ডাইনিং টেবিল ও চেয়ারের সেট ১৫ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা বা তার বেশি। শোবার খাট ১৪ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা বা তার বেশি। আলমিরা ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি। জুতার র্যাক ছয় হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা বা তার বেশি। বই রাখার আলমিরা ছয় হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া বাসাবাড়ি ও অফিসে ব্যবহার উপযোগী ফার্নিচারও আছে।
বিক্রমপুর ফরেন ফার্নিচার শোরুমে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ফার্নিচার কাঠের তৈরি। সেগুন, মেহগনি এবং প্রসেস কাঠের ফার্নিচার আছে। প্রতিটি ফার্নিচারে আধুনিকতা আছে
দেশি ব্র্যান্ডের ফার্নিচার হাতিলের শোরুমে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ফার্নিচার কাঠের তৈরি। সেগুন, মেহগনি এবং প্রসেস কাঠের ফার্নিচার আছে। প্রতিটি ফার্নিচারে আধুনিকতা আছে। গুণগত মানের এই খাট টেকসই হবে বলে মনে হয়েছে। ডিজাইনও সুন্দর।
বিক্রমপুর ফরেন থেকে ছয় চেয়ারের ডাইনিং টেবিল কেনার পর গৃহিণী রাজিয়া রশিদ বলেন, আমি আমার মেয়ে-জামাইকে উপহার দিতে এই ডাইনিং টেবিল-চেয়ার ৬২ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। আমি গত দশ বছর থেকে আখতার ফার্নিচার ব্যবহার করছি। অত্যন্ত টেকসই, রং এবং ডিজাইনও ভালো।
বিক্রমপুর ফরেন পণ্যের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখে। এ জন্য ক্রেতার কাছে বিক্রমপুর ফরেন সেরা অবস্থানে আছে। আমরা ক্রেতার চাহিদা মতো পণ্য সরবরাহে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।
বিক্রমপুর ফরেন ফার্নিচার কিনলে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় দিয়ে থাকে। অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ডে মাসিক কিস্তিতেও ব্র্যান্ডের ফার্নিচার কেনার সুযোগ রয়েছে।
পান্থপথ বাইরের দিকে আমদানি করা ফার্নিচারের অনেক দোকান রয়েছে। প্রায় দোকানে ক্রেতার ভিড় রয়েছে। দরদাম করে বেচাকেনা চলছে।
বিক্রমপুর ফরেন ফার্নিচার : দামে কম মানে ভালো বিক্রমপুর ফরেন ফার্নিচার বিক্রমপুর ফার্নিচার
মোবাইল নাম্বার 0187 025 7474 আজমেরী কমপ্লেক্স পান্থপথ গ্রীন রোড ঢাকা 1205
শেষ কথা: যদি কম দামে পুরনো ফার্নিচার কিনতে চান, তবে উপরোক্ত মার্কেটগুলোতে যেতে পারেন। তবে, হাতে সময় নিয়ে যাওয়া ভাল হবে যাতে আপনি ঘুরে-ফিরে দেখে-শুনে কিনতে পারেন। তাছাড়া, যাতে দর-দাম করতেও যথেষ্ট্য সময় পান। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
কম দামে ফার্নিচার, পারটেক্স ফার্নিচার দাম, অটবি ফার্নিচার, ফার্নিচার ডিজাইন, সোফা কাঠের ফার্নিচার, ডিজাইন বই, সোফা ফার্নিচার দাম
#সেগুন_কাঠের_সেকেন্ডহ্যান্ড_ফার্নিচার #পুরাতনখাট #পুরাতনসেগুনকাঠেরফার্নিচার
অবিশ্বাস্য কম দামে ফার্নিচার,এত কম দামে এত সুন্দর ফার্নিচার ,মাত্র ১৩ হাজার টাকায় কিনুন রাজকীয় খাট,ওয়াল শোকেস,আলমিরা,ওয়ারড্রব
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.