প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী সম্রাট হাজরা এর কিছু কথা কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জ

 

samrat

সম্রাট হাজরা একজন  খ্যাতিমান পরিশ্রমী নৃত্যশিল্পী,  নৃত্যপরিচালক ও প্রশিক্ষক । ২০১৩ সালে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ও ২০১৬ বাংলাদেশ শিশু একাডেমী গোপালগঞ্জ  নৃত্যশিল্পী প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা, কোটালীপাড়া ইউনিয়নে মদন পাড়া গ্রামের এক সাধারন মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। ছোটবেলা থেকেই নানা প্রতিকূলতা বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও  লুকিয়ে লুকিয়ে  পালিয়ে গিয়ে নৃত্য শিখেও। সম্রাটের পিতার নাম মৃতু ওমর আলী হাজরা ও মাতার নাম মিস কাজল বেগম বড় ভাই : মোঃ জসিম হাজরা  বিবাহিত জীবন এক সন্তানের জনক ছেলে সন্তান নাম মোঃ আহনাফ হাজরা । কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্ট্রন পাইলটথেকে এসএসসি পাস করে 2010,যোগাযোগের নাম্বার: 01853393390,01632027020 

Read More: ‘


সম্রাট হাজরা নৃত্যকে ভালবেসে সে আজ এ পর্যায়ে একজন নাচের প্রশিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন গোপালগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।গোপালগঞ্জের যতজন নৃত্যশিল্পী আছে  তাদের মধ্যে সম্রাট হাজরা অন্যতম। তাই সম্রাট হাজরা এ পর্যায়ে   আসার পথটা সহজ ছিল না অনেক বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও আজকে সে একজন নৃত্য প্রশিক্ষক।

 Read More: 


তিনি দীর্ঘদিন ধরে নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী গোপালগঞ্জ প্রশিক্ষক হিসেবে আছে। সে যেভাবে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয় তার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিটি স্টুডেন্ট সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করে থাকে। সে পরিশ্রম করতে কোন দ্বিধাবোধ করে না ।

 যে সময়ে যেকোন জায়গায় তাকে ডাকলে সে চলে যায়  প্রশিক্ষণ দিতে কার্পণ্য বোধ করে না । গোপালগঞ্জে তার মতো একজন নৃত্যপ্রশিক্ষক পেয়ে  ধন্য । সে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে বিভিন্ন গানের মডেলিং করা এবং হারিয়ে যাওয়া নৃত্যকে তুলে ধরা । তাইতো বলে পরিশ্রম মানুষের সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে তার পরিশ্রমের কারণে আজকে গোপালগঞ্জের এবং সারা বাংলাদেশে তাকে চেনে । 

গ্রাম  থেকে উঠে আসছে এবং নৃত্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁর পরিচিতি লাভ করেছে এবং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। গোপালগঞ্জের যেকোনো অফিস ডিসি-এসপি এবং যে কোন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানে প্রথম সম্রাট কে ডাকা হয় এবং তার নৃত্য কলা কৌশল পরিচালনা করার জন্য। অতি অল্প সময়ে  গোপালগঞ্জ এ নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে । সে একই দিকে যেমন নৃত্য প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে তেমনি অর্থাৎ বিভিন্ন ড্রেসের সাথে কিভাবে মেকআপ করতে হয় সেগুলো খুব সুন্দরভাবে মেকআপ গুলো  ফুটিয়ে তুলে এবং যেকোন দুর্বল প্রশিক্ষণার্থীর থাকলে তাকে কিভাবে তুলে আনতে হয় তাকে কিভাবে নৃত্য শেখাতে হয় সেটা  সে খুব সুন্দর ভাবে করে। এই জন্য যে কোন স্টুডেন্ট আর তার কাছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিলে যোগ্য নৃত্যশিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করে।  

আজকের গোপালগঞ্জে মুলত তার হাত ধরেই শিল্পকলা একাডেমি রাতারাতি নৃত্যে সারা বাংলাদেশে সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।  অর্থাৎ টুংগীপাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং শেখ রাসেলের জন্মদিন, শেখ হাসিনার জন্মদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রোগ্রামগুলো মূলত তাঁর হাত ধরেই খুব শক্ত অবস্থানে চলে এসেছে এবং সে এই অনুষ্ঠানগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। সে নৃত্যকে পেশা হিসেবে নিয়ে গর্ববোধ করে কারণ যে পেশায় তার সংসার চলে ইনকাম আসে এবং সেই নৃত্যকে  সে লালন করে । অনেকের থাকতে পারে অর্থ-সম্পদ, শিল্পপতি, ধনী, শিক্ষিত  কিন্তু তার  এসব নেই তবে পেশায় এনে দিয়েছে সম্মান মর্যাদা এবং পরিচিতি ।সে শুধু গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া পরিচিত মুখ নয় সারা বাংলাদেশর  একজন  পরিচিত মুখ। সম্রাট বলেন নৃত্য শেখার কোন বয়স নাই , যে কোন বয়সে শেখা যায় কারণ নৃত্য হলো মানুষের মনের খোরাক মনের খোরাক হিসেবে  শিখতে পারে এবং তার শারীরিক গঠন হিসেবে নৃত্য শেখা উচিত। 

Read More: Eso Priyo Mon Rangaye এসো প্রিয়, মন রাঙায়ে ধীরে ধীরে ঘুম ভাঙায়ে এসো প্রিয় মন রাঙ্গায়ে | নজরুল সঙ্গীত | 


সম্রাট বলেন, এখন মানুষের মধ্যে নৃত্য শেখার আগ্রহ হওয়া টা নষ্ট হয়ে গেছে , কমার্শিয়াল  হয়ে গেছে। আমরা যেমন প্রচুর ক্লাস করছি সময় দিয়েছি প্রশিক্ষণ নিয়েছি কিন্তু এখন মা বাবারা তদের ছেলে মেয়েদের নৃত্য শেখানোর এক মাসের মধ্যেই তাদের গান চায় এবং তাদের সামনের সারিতে নাচাতে চায় এবং তাদেরকে ক্যামেরায় দেখাতে চায় এটা এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশকে সম্মান এনে দেবেন নৃত্যশিল্পীরা আসলে কালচারাল প্রোগ্রাম খুব কম হয় যেহেতু মুসলমান কান্ট্রি । কিন্তু বাংলাদেশের সরকারের উচিত বিভিন্ন ধরনের যাতে আরো বেশি বেশি কালচারের অনুষ্ঠানগুলো হয় । নৃত্য মূলত আনন্দ দেয় বিষাদ নেশাগ্রস্ত থেকে দূরে রাখে, মন পরিষ্কার রাখে উদার মনের মানুষ হতে সাহায্য করে।  তাই নৃত্যের দিকে সরকারের উচিত আরো জোর দেওয়া এবং বরাদ্দ দেওয়া কালচার প্রোগ্রাম গুলো বেশি বেশি করানো। নৃত্য নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে বিগত বছর গুলেতে ।

 ইতিবাচক সেসব কাজ বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে দেবে বিশেষ মর্যাদা। দেশকে সম্মান এনে দেবেন নৃত্যশিল্পীরা। তখন হয়তো সুধী সমাজ বলবে, নটরাজ মুখ তুলে চেয়েছেন। নয়তো দারিদ্র্য, অসহায়ত্ব, অপুষ্টি, সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে তরুণেরা কীভাবে শিল্পী হয়ে উঠছেন? 

আকর্ষণীয় এই শিল্পমাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে উঠছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। ভরতনাট্যম, কত্থক, ওডিশি ও মণিপুরি নাচে তৈরি হয়েছেন একঝাঁক দক্ষ পারফরমার। নৃত্য নিয়ে পড়তে রবীন্দ্রভারতী, বিশ্বভারতী, বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়সহ পৃথিবীর নানা জায়গায় ছুটছেন তরুণেরা। ফিরে এসে নিজ নিজ ক্ষেত্রে রাখছেন মেধার স্বাক্ষর। 

চলতি বছর শেখার সেই প্রবণতায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। দেশ-বিদেশে বহু কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণেরা। সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কোরিওগ্রাফার ও নৃত্যশিল্পী আকরাম খান কোম্পানিতে ঢাকার মো. হানিফের সুযোগ পাওয়া। ইতালির সামার ইনটেনসিভ প্রোগ্রামে অংশ নেন হানিফ। ওই কোম্পানির পরিচালনায় বাংলাদেশের তরুণেরা নৃত্য করবেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে। 

এ বছর গ্যেটে ইনস্টিটিউটের সহায়তায় সমসাময়িক নৃত্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন একঝাঁক তরুণ। জার্মান শিল্পী টমাস বুঙ্গারের হাত ধরে তাঁরা করেছেন বেশ কিছু নতুন প্রযোজনা। সেগুলো প্রশংসাও কুড়িয়েছে। কানাডীয় গবেষক ও নৃত্যশিল্পী সাশার জারিফের প্রশিক্ষণে ‘চাঁদ: দ্য রিফ্লেকশন অব আ উইশ’ প্রযোজনাটিও কর্মশালার ফল। 

ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।

 অমলা শঙ্করের জীবনী, বুলবুল চৌধুরী সাহিত্য, বাফা ভর্তি, কত্থক নৃত্য, কত্থক কোন রাজ্যের নৃত্য, নৃত্য ঘরানা, ললিতকলা বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী

Post a Comment

0 Comments