বিছানায় যেতেন বাবা, মায়ের সামনে বমি করতেই জানা গেল মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা

বক্ষ ও এ্যাজমা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ রাশেদুল হাসান
 মৌমিতা (ছদ্মনাম)। সংসারের বড় মেয়ে। থাকেন মা-বাবার সঙ্গেই। কিছুদিন হলো মুখে খাবার নিলেই বমি করছিলেন। অস্বাভাবিক বমিতে মনে সন্দেহ জাগে। পরামর্শ নেন চিকিৎসকের।

ভালোবাসা দিবসে ফের বমি হলে স্ট্রিপ কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করেন মেয়েটির মা। পরীক্ষা করতেই জানতে পারেন মেয়ের পেটে বাচ্চা। বিয়ে ছাড়াই পেটে বাচ্চা এলো কীভাবে, এমন প্রশ্ন নাড়া দেয় মায়ের মনে। অবশেষে জানা গেল বাবার ধর্ষণেই মেয়ে এখন অন্তঃসত্ত্বা।

ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা।

অভিযুক্তের নাম শিপন হাওলাদার তুফান। ৩৭ বছর বয়সী তুফান মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল এলাকার জামাল ব্যাপারীর ছেলে।

বক্ষ ও এ্যাজমা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ রাশেদুল হাসান

ভুক্তভোগীর মা জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি বমি করতে থাকেন তার বড় মেয়ে। কারণ জানতে ফার্মেসি গিয়ে স্ট্রিপ কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এরপর জানা গেল মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু বিয়ে ছাড়া মেয়ের পেটে কীভাবে বাচ্চা এলো, এমন প্রশ্ন মাথায় ঘুরতে থাকে। পরে বিষয়টি মায়ের কাছে খুলে বলেন মেয়েটি।

ভুক্তভোগী তরুণী জানান, মাঝে মধ্যেই বিছানায় যেতেন তার বাবা। এরপর ধর্ষণ করতেন। হঠাৎ এক রাতে টের পান তিনি। পরে জোর করেই বুকের ওপর উঠে মেলামেশা করেন বাবা। বাধা দিলে উল্টো মারধর করে বেরিয়ে আসেন। এভাবে চার মাস ধরে মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করছিলেন।

ভুক্তভোগীর মা বিষয়টি স্বজনদের জানাতে চাইলে ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়েকে জোর করে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন বাবা শিপন হাওলাদার তুফান। পরে জানতে পারেন মেয়েটি ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে মেয়েকে গর্ভপাত করান।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Post a Comment

0 Comments