আসুন আজ পরিচিত হই স্নেহার সাথে। লিঙ্গ মহিলা, বয়স 35, পেশায় অ্যাডভেকেট, জাত....., ধর্ম.....।

 আসুন আজ পরিচিত হই স্নেহার সাথে। লিঙ্গ মহিলা, বয়স 35, পেশায় অ্যাডভেকেট, জাত....., ধর্ম.....।

হ্যাঁ, তামিলনাড়ু নিবাসী স্নেহাই প্রথম আনুষ্ঠানিক ভারতীয় যার কোন জাত বা ধর্ম নেই। স্নেহা বা তাঁর বাবা-মা জাত বা ধর্মকে বিশ্বাস করেন না। তারা সর্বদা যে কোনও আবেদন ফর্মের মধ্যে 'জাত' এবং 'ধর্ম' ফাঁকা রেখে দেয়।

লডাইটা সহজ ছিলনা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গায় ফর্ম পূরণ করার সময় যখন জাত ও ধর্ম বাধ্যতামূলক হতে শুরু করে, প্রয়োজন হয় তখন আইনি লড়াইয়ের। কোর্ট থেকে করাতে হয় স্বঘোষণাপত্র। বিভিন্ন দপ্তরে চলে ফাইল চালাচালি। গতানুগতিকতার বাইরে যাওয়াটা অনেকেই মেনে নেয়নি সহজভাবে। কিন্তু হাল তিনি ছাড়েননি। সামনে এনেছেন বিতর্ক, "জাত ও ধর্মে বিশ্বাসী লোকেদের যখন শংসাপত্র রয়েছে, তখন কেন আমাদের মতো লোকদের শংসাপত্র দেওয়া হবে না?"

এক দশকের ঘাত-প্রতিঘাতের পর অবশেষে আদায় হয় তার দাবী। এই বছরের 5 ই ফেব্রুয়ারি পান তিনি "No Caste, No Religion" শংসাপত্র। জাত ও ধর্মের বেড়াজাল থেকে আজ তিনি আইনত মুক্ত। স্নেহা ও তার স্বামী কে পার্থিবা আজও তাদের তিন কন্যার স্কুলের আবেদনের ফর্মে 'বর্ণ' ও 'ধর্ম' এর জায়গা গুলো ফাঁকা রেখে চলেছেন।

স্নেহার এই লড়াই কে সামনে রেখে আজ দরকার সামাজিক আন্দোলনের। দাবি তুলুন জাত-ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করার চক্রান্ত বাতিল করো। ভারত আমার দেশ, আর আমরা ভারতীয়, পরিচয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট...