পাসপোর্ট, ইন্ডিয়ান ভিসা ও বর্ডার সংক্রান্ত এ টু জেড

বাংলাদেশের চারদিকের তিন দিক ভারত বেষ্টিত আর একটা দিক মায়ানমার দারা আবৃত। বাংলাদেশের মানুষ যাতে ইন্ডিয়া সহজ ভাবে যেতে পারে সেই চেষ্টা বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া সরকার উভয় দেশ করে যাচ্ছে। আর তাই ত্রিশ + এর মতো বর্ডার আছে ভারতের সাথে।
ঢাকা, গোপালগঞ্জ যেকোনো জায়গা থেকে ভারতে বিভিন্ন বর্ডার দিয়ে যেতে পারেন তাদের মধ্যে অন্যতম  বেনাপোল । কারণ এখান দিয়ে আপনি সহজেই ঢাকা যেতে পারবেন মাত্র তিন ঘন্টা। তিন ঘন্টায় গোপালগঞ্জ থেকে গেলে পোস্ট অফিসের মোড় বা কলেজের সামনে থেকে আশিক বা পলাশ পরিবহনে তিন শত পঞ্চাশ টাকা নেবে বেনাপোল যেতে মাত্র তিন ঘন্টা সময়। এরপরে বেনাপোল বর্ডারে গেলে আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং ট্রাভেলিং ভিসা হিসেবে আপনাকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ট্রাভেলট্যাক্স এবং কোর্ট ফি এক হাজার পঞ্চাশ টাকা দিতে হবে। এরপরে ভিতরে গেলে আপনাকে পুলিশে চেক করবে। এখানে আপনি কি বিষয় যাচ্ছেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশে কি করছেন সে সমস্ত ডকুমেন্ট যেমন নো অবজেকশন সার্টিফিকেট।
যদি আপনি কোন প্রাইভেট চাকরি করেন সেক্ষেত্রে এটা দরকার আছে যদি এটা না থাকে তখন পুলিশকে যা দিয়ে পারেন আপনাকে ঠেকাইয়া রাখবে না তবে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট কিন্তু লিখতে হবে তারপরে যেখানে চাকরি করেন সেখান থেকে ইন্ডিয়ান ভিসা করার সময় যেন অবজেকশন সার্টিফিকেট দিছেন সেরকম একটা সার্টিফিকেট আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হবে। তবে শুধু উপরের হেডিংরা পরিবর্তন করে দেবেন যে বর্ডার দিয়ে যাবেন সেই বর্ডার এর নাম লিখে। নির্বিঘ্নে আপনে তাহলে ক্রসিং করে ইন্ডিয়ান বর্ডারে ভিতরে ঢুকে গেলেন এখানে আপনাকে প্রথম একটি ফর্ম দেবে সে ফর্মে আপনার নাম কার বাড়িতে যাবেন ইন্ডিয়া বা কোথায় গিয়ে থাকবেন সেই ঠিকানাটা লিখবেন এবং আপনার , পাসপোর্ট আইডিটা লিখবেন যেতে হবে এরপরে আপনাকে মালামাল চেক করার জন্য অর্থাৎ তাদের যে মেশিন আছে সেখানে নিয়ে যেতে হবে।
আপনাকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে তারপরে আপনার মাজার বেল্ট হাতের ঘড়ি গলায় চেইন এগুলো খুলে ব্যাগের মধ্যে রাখতে হবে এবং তারা চেক করে মেশিনের মাধ্যমে আপনাকে পাঠিয়ে দেবে তখন আপনি টাকা চেঞ্জ করে নিতে পারেন। রুপিতে চেঞ্জ করতে গেলে বাংলাদেশের ১০০ টাকায় ৭০ টাকা দিছে কখনো কমবেশি দিতে পারে। তবে বাংলাদেশ থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে গেলেই সুবিধা এবং ওপারও ভাঙ্গাতে পারেন বা আপনার ডুয়েল কারেন্সি কাট থাকলেও আপনি  পারবেন আপনাকে এ কোশ্চেন গুলো তারা করবে এরপরে সামনের দিকে এগুলো আপনার আপনাকে ক্যামেরার দিকে তাকাতে হবে ক্যামেরার দিকে তাকাতে হবে।
এরপরে আপনি সামনের দিকে চলে গেয়ে বর্ডার এখানে অনেক দালালরা সামনে  রয়েছে আপনার মালামাল পার করে দেওয়ার জন্য টাকা ভাঙিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের থেকে সাবধান থাকবেন তবে যে কোন একটা বুথে চলে গেলে আপনি টাকা ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এরপর ওখান থেকেই ভ্যান , টোটো তে আপনি বনগাঁ স্টেশন যেতে পারবেন সেখানে যেতে আপনার পঞ্চাশ টাকা ভাড়া নিয়ে । আপনি ওখান থেকে বাসে যেদিকে ইচ্ছে কলকাতা হুগলি চাঁদপাড়া নদীয়া আপনার পছন্দ মতো লাইনগুলো আপনি বেছে নিতে পারেন ওখানে আপনি ট্রেন বাস সবই পাবেন।
সমস্ত বর্ডার এর মধ্যে হরিদাশপুর (বেনাপোল) বর্ডার ই সবচেয়ে জনপ্রিয় বেশি এবং বাংলাদেশের প্রায় সত্তর পারসেন্টন+ লোক যাতায়াত করে এই হরিদাশপুর মানে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে। এখন ভিসা সহজ করাতে প্রায় প্রতিদিন চার /পাঁচ হাজার এর মত লোক যাতায়াত করে আর বাকি ত্রিশ পারসেন্টন লোক বাকি বর্ডার দিয়ে যাতায়াত করে।

কারণ বেনাপোল বর্ডার পার হলেই মাত্র তিন ঘণ্টা লাগে কলকাতা যেতে তাই এই বর্ডার দিয়ে মানুষ বেশি যাতায়াত করে। আবার দমদম এয়ারপোর্ট ( নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট )ও এই কলকাতাতে তাই এই রুট দিয়ে বেশি যাতায়াত করে। আবার হাওড়া ও শিয়ালদাহ রেল স্টেশন এই কলকাতাতে যেখানে প্রতিদিন এই স্টেশন থেকে প্রায় ৫৫০ টি ট্রেন ছাড়ে তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা প্রয়োজনীয় বর্ডার।


ভারত ভ্রমনে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিতঃ
ইদানিং কালে ভারতে যাওয়া আসা একদম সহজ হয়ে গেছে, ভিসা জটিলতা কমে গেছে, যখন খুশি মন চাইল চল ঘুরতে যাই, শপিং করতে যাই। সব কিছু সহজ হওয়া সত্ত্বেও বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে যাবার সময় কিছু কিছু খুঁটিনাটি বিষয় না জানার কারনে কিছু হেনস্থা পোহাতে হয়।
ভারতে যাবার আগে যে সব বিষয় খেয়াল রাখা উচিতঃ
১। আপনার পাসপোর্টে যদি ডলার এন্ডোরস করা থাকে তাহলে অবশ্যই ডলার সাথে রাখবেন, নইলে অযথা আপনার কাছ থেকে টাকা খাবে ভারতীয় ইমিগ্রেশন।
২। সাথে ইন্ডিয়ান রুপি থাকলে কখনোই তা স্বীকার করবেন না, দরকার হলে লাগেজে লুকিয়ে রাখবেন, মানি ব্যাগে রাখবেন না। ওরা এমনই সরকারী ডাকাত আপনার পার্স, মানিব্যাগ নিজেই হাতড়ে টাকা বের করে নিবে। যদিও আইন অনুযায়ী দশ হাজার রুপি রাখতে পারবেন, কে করে তার কেয়ার, তবে ফ্লাইটে গেলে ভিন্ন কথা।
৩। একদম নতুন নতুন সব কাপড় নিয়ে যাবেন না। এগুলো নিয়েও ঝামেলা করে। ট্যাগ থাকলে তো আরও ঝামেলা।
৪। যারা প্রথমবার যাচ্ছেন তাদের বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন অবশ্যই জিজ্ঞেস করে কি করেন, ছুটির কাগজ আছে কিনা, কেন যাবেন। আর যদি কেউ এসব প্রশ্নের সন্মুখিন হতে না চান তবে আমাদের জনতার বন্ধুরা তো আছেই একশত  টাকা আর পাসপোর্ট ধরিয়ে দিলেই ব্যাস।
৫। যাদের মেডিক্যাল এটেন্ডেন্ট ভিসা তারা ভুলেও রোগী ছাড়া যাবেন না, তাহলে বাংলাদেশ ইমগ্রেশন ই আপনাকে ফিরিয়ে দিবে।
৬। ভিসার মেয়াদ ১ মাস থাকা সত্ত্বেও পুনরায় ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
৭। যারা ফেয়ারলি প্যালেস থেকে টিকেট করতে যাবেন তারা অবশ্যই ১২ টার আগে যাবেন। আর এখন থেকে সাথে পাসপোর্টের কপি+ভিসার কপি+ এরাইভাল সিল যে পেইজে আছে তার ফটোকপি নিয়ে যাবেন, নতুবা টিকেট দিবেনা।
৮। ভ্রমণ কর ঢাকায় সোনালি ব্যাংক থেকেই দিয়ে যান, তাহলে বর্ডারে সোজা ইমিগ্রেশনে চলে যেতে পারবেন।
৯। ভারতের ইমিগ্রেশন শেষ হবার পর কারো হাতে পাসপোর্ট আর টাকা ভাঙাতে দিবেন না। যতই বলুক বাসের লোক অমুক তমুক, টাকা ভাঙিয়ে নিয়ে যান, রশিদ লাগবে টাকা ভাঙানোর সব ফালতু, ভুলেও কেউ তাদের কথায় কান দেবেন না।
১০। নিউ মার্কেট এরিয়া বাদ দিয়ে একটু আশে পাশের এলাকায় হোটেল নিন, কম টাকায় থাকতে পারবেন।
১১। কলকাতায় সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার থেকে ডলার বা টাকা ভাঙাবেন ভাল রেট দেয় এখন পর্যন্ত আমার অভিজ্ঞতা তাই, ব্যবহার ও ভাল।
১২। বনগাঁ টুঁ শিয়ালদহ লোকালে ২০ টাকায় যেতে পারবেন মাত্র ২ ঘন্টা লাগে, যে খানে তথাকথিত দাদাদের ভলভো বাসে ৪ ঘন্টা লাগে ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকা। বর্ডার থেকে ৩০ টাকা অটোতে বনগাঁ স্টেশন।


আপনারা যারা ইন্ডিয়া জাওয়ার জন্য ইন্ডিয়ার ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফিলাপ করেন বা কাউকে দিয়ে করিয়ে নেন তখন কে কোন বর্ডার দিবে সেটা নিয়ে একটু বিচলিত বোধ করেন। আর তাই আজকের এই লম্বা পোষ্ট।
যাইহোক এখন সমস্ত বর্ডার এর বিস্তারিত তুলে ধরছিঃ
1. BY AIR
2. BY AIR/HARIDASHPUR
3. BY RAIL/GEDE
4. BY RAIL GEDE/BY AIR
5. BY RAIL GEDE/BY ROAD HARIDASHPUR
6.BY ROAD AGARTALA
7. BY ROAD BELONIA
8. BY ROAD VOLAGONJ
9. BY ROAD CHANGRABANDHA
10.CHANGRABANDHA/JAYGAON
11. RANIGANJ
12. BY ROAD DALIGHAT
13. BY ROAD DHUBRI
14. BY ROAD GEDE
15. BY ROAD GHOJADANGA
16. BY AIR/HARIDASHPUR
17. BY ROAD GOLAKGANJ
18. BY ROAD RADHIKAPUR
19. BY ROAD FULBARI
20. MUHURIGHAT
21. MANKARCHAR
22. MAHADIPUR
23. KHOWAI
24. KARIMGANJ
25. KAILASHAHAR
26. JAIGAON
27. RANIGANJ
28. SABROOM
29. SONAHAT
30. SUTERKANDI
31. BY ROAD DAWKI


মোটামুটি এই হলো বাংলাদেশের সাথে ইন্ডিয়ার সমস্ত জায়গার বর্ডার যেখান দিয়ে মানুষ যাতায়াত বা পণ্য আনা নেওয়া করতে পারে। আরো দুটি বর্ডার আছে তবে তা জেনে পরে উল্লেখ করা হবে।
এখন আসুন জেনে নেই পাসপোর্ট, ইন্ডিয়ান ভিসা ও পোর্ট সম্পর্কে কিছু জরুরী প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্নঃ১। Passport এর মেয়াদ ৩ মাস থাকলে কি Indian ভিসা পাওয়া যাবে?
= না।
প্রশ্নঃ ২। পাসপোর্টে বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত দিলে স্ত্রী এর কোন তথ্য দেয়া লাগে কিনা? পরবর্তিতে পাসপোর্টে বিবাহিত থাকলে কোন দেশের ভিসা নিতে গেলে স্ত্রী এর তথ্য দেয়া লাগে কিনা?
= বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত দিলে স্তীর নাম, পেশা, জাতীয়তার তথ্য প্রয়োজন পরবে কিন্তু ডকুমেন্ট লাগবেনা। তবে খেয়াল রাখবেন, পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার আপনার স্ত্রীর এনআইডি/বিয়ের কাবিননামা দেখতে চাইতে পারে। পরবর্তীতে নিজ ভিসা করার জন্য শুধু তথ্য দিতে হবে কিন্তু ডকুমেন্ট জমা দিতে হবেনা।
প্রশ্নঃ৩। আমার ভিসা ডাউকি দিয়ে। আমি এখন যদি বেনাপোল দিয়ে কলকাতা যেতে চাই তাহলে ভিসা পরিবর্তন কিভাবে করতে হবে?
= ভিসা পরিবর্তনের দরকার নেই আপনি এই ভিসা দিয়ে হরিদাসপুর বর্ডার ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ৪। ভিসায় লেখা বাই গেদে/ হরিদাশপুর। আসার সময় আমি কি চেন্নাই থেকে বিমানে ঢাকা আসতে পারব?
= জ্বী পারবেন।
প্রশ্নঃ৫। প্রথম পাসপোর্ট টি হারিয়ে ফেলি, তারপর অনেক ঝামেলার পর খুজে না পেয়ে, নতুন আরেকটি পাসপোর্ট করি। কিন্তু নতুন পাসপোর্ট দিয়ে ইন্ডিয়ার ভিসা করতে পারতেছি না। ওরা বলতেছি লস্ট ইন নামক কি একটা কাগজ জমা দিতে। ঠিক বুঝতেছিনা কিভাবে কি করবো?
= প্রথমে থানায় জিডি করতে হবে এরপর ঐ জিডি নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লস্ট পাসপোর্ট সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। নতুন পাসপোর্টের সাথে এম্বাসিতে ঐ লস্ট সার্টিফিকেট সবসময় জমা দিতে হবে।
প্রশ্নঃ৬। ভিসার মেয়াদ আছে কিন্তু পাসপোর্টের মেয়াদ ২ মাস আছে ...ইন্ডিয়া যাওয়া যাবে?
= ভিসা এপ্লাই করার জন্য পাসপোর্ট এর মেয়াদ ৬ মাস থাকা জরুরী কিন্তু যেহেতু ভিসা আছে তাই এন্ট্রিতে কোন সমস্যা নাই।
প্রশ্নঃ৭। ট্রাভেল ট্যাক্স (ইন্ডিয়া'র) সোনালী ব্যাংকে এখন জমা দিলে কতদিন পর্যন্ত ভ্যালিড থাকবে। নিশ্চিত হয়ে কেউ বলতে পারলে উপকৃত হতাম। আমার যাওয়ার ইচ্ছা আরো মাস দুই, তিন পর। সম্ভব?
= ৬ মাস।
প্রশ্নঃ৮। ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ কম খরচে কথা বলার জন্য কোন কম্পানির সিম ভাল হবে?
= শুধু কথা বলার বিশেষ করে বাংলাদেশে কম রেটে কথা বলার জন্য Airtel India সিম বেশ ভালো। তবে হ্যাঁ, শুধু সিম কিনলেই হবে না। বাংলাদেশ প্যাক অ্যাক্টিভ করে নিতে হবে। তাহলেই দেড় রুপি মিনিটে কথা বলতে পারবেন। অামি নিজের জন্য অবশ্য কথা বলার জন্য Viber, Skype, Messenger, WhatsApp এগুলিকেই প্রায়োরিটি দিই। যেকারণে অামি ইন্টারনেট প্যাক নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করি। ইন্টারনেটের জন্য Vodafone India বেশ ভালো।
প্রশ্নঃ৯। ইন্ডিয়ান ভিসা থাকাকালিন মেয়াদে কেউ যদি ইন্ডিয়া না যায় তাহলে পরবর্তিতে ইন্ডিয়ার ভিসা আবেদন করলে নাকি ২-৩ বছরের মধ্যে আর ভিসা দেয়না। তথ্যটা কতটুকু সত্য? কেউ জেনে থকলে দয়া করে বলবেন প্লীজ।
= ঠিক নয় ভুয়া কথা।
প্রশ্নঃ১০। আমার ই টোকেন এর ফাইলে ডেসিগনেশন এর ঘরে কিছু দেওয়া নাই। শুধু প্রাইভেট সার্ভিস আর প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া। এইটটা কি কোন সমস্যা হবে? আর ফাইল টা কি A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করলে হবে?? আর কালার প্রিন্ট নাহ সাদা কালো?
= এটা কোন সমস্যা না। A4 সাইজের কাগজে প্রিন্ট করবেন, উভয় পিঠে না, সিংগেল পেজে প্রিন্ট দিবেন ।ছবি আঠা দিয়ে লাগাবেন,কালার প্রিন্ট ই করবেন।
প্রশ্নঃ১১। পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
= পাপাসপোর্ট করতে যা যা লাগবেঃ
১। আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর ২ কপি
২। ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক নাগরিক সনদপত্র বা শহরে বাসা হলে কমিশনারের কাছ থেকে সনদপত্র নিতে হবে।
৩। ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৪। পাসপোর্ট ফি জমা স্লিপ মানে ৩৪৫০ টাকা জমা দিবেন সোনালি বা অন্য যে সব ব্যাংক জমা নিচ্ছে সেই সব ব্যাংকে গিয়ে জমা দিবেন।
৫। পাসপোর্ট ফর্ম ফিলাপ করতে হবে ২ কপি। ফর্ম ফিলাপের সময় সব বড় হাতের লিখবেন ইংরেজিতে।
প্রশ্নঃ১২। ইন্ডিয়ার ভিসা করতে কি কি লাগে?
= ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য যা যা লাগবেঃ
১। পাসপোর্ট মেইন পেজের ২ কপি ফটোকপি
২। ২ কপি ভিসা সাইজ ছবি
৩। ব্যাংক স্টেটমেন্ট মিনিমান ৬ মাসের এবং ১৫০০০ থেকে ২০০০০ টাকা থাকতে হবে
৪। বিদ্যুৎ বিলের আপডেট কপি
৫। নাগরিক সনদপত্রের কপি
৬। পেশা অনুযায়ী কপি যেমন শিক্ষক হলে প্রিন্সিপালের থেকে ছাড়পত্র
৭। ৬০০/৭০০ টাকা মানে ভিসা ফি
৮। ভিসা এপ্লিকেশন কপি ( ইটোকেন / নিশ্চিত বাসের/ট্রেনের টিকিট )
৯। পাসপোর্ট মুল বই
মূলত, পাসপোর্ট, ইন্ডিয়ান ভিসা এবং বর্ডার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments