করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে ভারতসহ ৩০ দেশ


চীনের নতুন করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে ভারতসহ ৩০টি দেশ। জার্মানির হুমবয়েট ইউনিভার্সিটি এবং রবার্ট কোহ ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রত্যাশিত বৈশ্বিক বিস্তার বা ‘এক্সপেকটেড গ্লোবাল স্প্রেড অব দ্য নভেল করোনাভাইরাস’ শীর্ষক সমীক্ষায় ঝুঁকির তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৭তম।

গতকাল রোববার এনডিটিভির অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদনে গবেষণাটিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, শূন্য দশমিক ২১৯ শতাংশ ঝুঁকি নিয়ে তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৭তম।

গবেষণায় বিশ্বের চার হাজার বিমানবন্দরের ২৫ হাজারের বেশি সরাসরি আকাশপথে যাত্রার তথ্য বিশ্লেষণ করে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকাটি তৈরি করা হয়েছ। এটাকে বলা হচ্ছে, ‘তুলনামূলক আমদানি–ঝুঁকি’। এর মানে হচ্ছে সংক্রমিত এলাকা থেকে সংক্রমণের শিকার ব্যক্তিদের অন্য এলাকায় যাত্রার শতকরা হার। এ ক্ষেত্রে সংক্রমিত এলাকা হচ্ছে চীন। সেখান থেকে যে দেশে ওই ব্যক্তি যাচ্ছেন, তা হচ্ছে ভাইরাসের সম্ভাব্য বিস্তারের গন্তব্য।

গবেষণায় উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ধরা যাক, এক হাজার আক্রান্ত ব্যক্তি হ্যাংঝৌ বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজে চড়ল। সে ক্ষেত্রে জার্মানির শূন্য দশমিক ২ শতাংশ ঝুঁকিতে থাকার মানে, ওই এক হাজার আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে দুজনের চূড়ান্ত গন্তব্য হচ্ছে জার্মানি। 

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আকাশপথের যাত্রীর সংখ্যার দিকে তাকালে অনুমান করা যায় ভাইরাসটি কীভাবে অন্য এলাকায় ছড়াতে পারে। ব্যস্ত ফ্লাইট রুটে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যাত্রার সম্ভাবনা বেশি। সেই সম্ভাবনাকে ধরে অন্য বিমানবন্দরে তুলনামূলক আমদানি–ঝুঁকি নির্ণয় করা যায়।

 ঝুঁকিতে থাকা ৩০টি দেশ হচ্ছে থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ম্যাকাউ, ফিলিপাইন, রাশিয়া, কানাডা, ভারত, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিয়ানমার, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, কাতার, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, লাওস, স্পেন ও ইথিওপিয়া।

 ঝুঁকিতে থাকা ভারতের বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে রয়েছে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দর, কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস বিমানবন্দর। এ ছাড়া বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং কোচির বিমানবন্দরও ঝুঁকিতে রয়েছে। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের খবর অনুসারে, চীনের নতুন করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৯১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন ছাড়া বাকি সবাই চীনের।

 করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই মারা গেছেন আট শতাধিক মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর বেশির ভাগই চীনের। মৃত্যুর সংখ্যায় করোনাভাইরাস সার্সকেও (সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ছাড়িয়ে গেছে।

 ২০০৩ সালে সার্সে আক্রান্ত হয়ে ২৪টিরও বেশি দেশের ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর বেশির ভাগই ছিলেন চীনের।


source:prothom allo.

Post a Comment

0 Comments

Update Posts

তালিবানি মুখোশ খুলে ঝাঁঝরা হয়েছিলেন সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাভ জেহাদীর, মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে নির্যাতিত হয়েছে ধর্ষিত হয়েছে মারা গেছে এরকম দশটি কাহিনী
স্মার্ট নাগরিক গঠনে গ্রন্থাগারের ভুমিকা রচনা ১০০০ শব্দ
CS, RS, SA, PS, BS জরিপ কি?ভূমি জরিপ বা খতিয়ান চেনার সহজ উপায় জেনে নিন ৫ মিনিটেই জমির আরএস খতিয়ান
Disclaimer
   অজিজন বাঈ  বীরাঙ্গনা #_বিস্মৃত_বীরাঙ্গনা_আজও_অজানা
Top 14 Best Paying CPC/PPC Ad Networks
100% Proof - How to Get Back Suspended YouTube Channel Bangla - 100% Solution
25 Places to Find Free Images Online That You Will Actually Want to Use
পজিটিভ রিভিউ লিখে গুগোল থেকে ইনকাম করুন | পেমেন্ট প্রুফ সহ ভিডিও | Earn money from submit review https://reviews.capterra.com/
Contract Us