করোনায় চীনের প্রকৃত মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য
শুধু আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গুণে কী হবে, চীনের রিপোর্টও যে সত্যি তার কি কোনও প্রমাণ আছে? বেইজিংয়ের সরকারি তথ্যের স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগে তিনিই বলেছিলেন, ‘চাইনিজ করোনাভাইরাস’। এই মারণ ভাইরাস বয়ে এনেছে চীনই। এবার ট্রাম্প বললেন, করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের যে সংখ্যা দেখাচ্ছে চীন তার ভেতরে অনেকটাই তফাৎ আছে। আসল সত্য আগেও চেপে গিয়েছিল তারা, এখনও অন্ধকারে রাখছে গোটা বিশ্বকেই।
সাংবাদিক সম্মেলন করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এরকম বিস্ফোরক মন্তব্য করে আরও বলেন, ‘নিজেদের দেশে ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম দেখানোর চেষ্টা করছে চীন। সংক্রমণ থেমে যাওয়ার যে দাবি তারা করেছে সেটাও সত্যি নয়।
আসল খবর অন্য। ’ কী সেই খবর? মার্কিন ইনটেলিজেন্স দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক মহলকে বোকা বানিয়ে যাচ্ছে বেইজিং। চীনেই প্রথম মহামারী হয় করোনাভাইরাস। সেই উনিশ সালের শেষ থেকে এখনও অবধি হুবেই প্রদেশ-সহ চীনের কয়েকটা প্রদেশে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা অনেক। যে পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে সরকারি রিপোর্টে সেটা একেবারেই সত্যি নয়।
ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট জানায়, বেইজিং তাদের সরকারি তথ্যে মৃতের সংখ্যা কম করে দেখিয়েছে। এরপরেই মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের তরফ থেকে সম্ভাব্য সংখ্যা দেখিয়ে রিপোর্ট যায় হোয়াইট হাউসে।
করোনাভাইরাস আসলে গবেষণাগারে বানানো রাসায়নিক মারণাস্ত্র এমন দাবি আগেই তুলেছিল আমেরিকা। সেই নিয়ে চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব এখনও চলছে। পাল্টা চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল মার্কিন সেনেরাই ভাইরাস বয়ে এনেছিল উহানে। সেই সংক্রমণই ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের মধ্যেই হঠাৎ করে চীন দাবি করে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে তাদের দেশে। হুবেইতে মহামারী থেমে গেছে। এমনকি এ খবরের সত্যতা প্রমাণ করতে হুবেই প্রদেশের লকডাউনও তুলে দেওয়া হয়। ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন এমন ছবিও সামনে আনে চীনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তথ্যসূত্র: বিডি-প্রতিদিন
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.