সংবাদ মাধ্যম অনেক রং মাখিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, আসল ঘটনাটা একেবারেই তেমন নয়। ডোনাকে নিয়ে পালিয়েছিলেন সৌরভ! এটা ডাহা মিথ্যা, সাফ জানালেন কলকাতার মহারাজ। সৌরভ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মিডিয়া অনেক রং চড়িয়েছিল ঠিকই, কিন্তু বিয়েটা ধুমধাম করে দিয়েছিল বাবা-ই (চন্ডী গাঙ্গুলি)'।
প্রসঙ্গত, সৌরভ-ডোনার বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৭-এর ফেব্রুয়ারি। প্রথম দিকে তাদের সম্পর্ক নিয়ে সৌরভের পরিবারে সমস্যা হলেও পরে চন্ডী গাঙ্গুলি দাঁড়িয়ে থেকেই নিজের ছোট ছেলের বিয়ে দেন।
সৌরভ জানান, তার আগে গাঙ্গুলি পরিবারে কেউ লাভ ম্যারেজ করেনি। আর সেই কারণেই বাড়িতে ডোনার কথা বলতে খানিক ভয়ই হয়েছিল তার। কিন্তু পরে তার আর ডোনার সম্পর্কের কথা জানতে পেরে চন্ডী গাঙ্গুলি সৌরভকে বলেছিলেন, মন দিয়ে ক্রিকেট খেল, বাকিটা আমি সামলে নেব।তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল কাকতালীয় ভাবেই। ফুটবল প্রেমী সৌরভের ক্রিকেট দলে সুযোগ হয়েছিল টাইফয়েডের কারণে। বাংলা দলে সেবার ৭ জন ক্রিকেটার স্রেফ বাদ পড়েছিলেন টাইফয়েড হওয়ার কারণে, আর তখনই ক্রিকেট খেলার সুযোগ আসে সৌরভের। আর সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে শতরান করেছিলেন বেহালার বা হাতি। আর রঞ্জি দলে সুযোগ পাওয়ার ব্যপারটা ছিল আরও চমকপ্রদ। দাদা স্নেহাশিষের বদলে তাকেই বাংলা দলে জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকেই সৌরভের সৌরভ হয়ে ওঠা শুরু।
একথা অনস্বীকার্য, ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভ সেই অধিনায়ক, যিনি ভারতকে উপমহাদেশের বাইরে জেতাতে শিখিয়েছেন। ভারত একটা দল এবং ক্রিকেটে দলগত ভাবেই পারফর্ম করতে হবে- এই মানসিকতা এনে দিয়েছিলেন কলকাতার মহারাজ। আর ব্যক্তি সাফল্যে সৌরভ ভারতের সেই ক্রিকেটার যার ঝুলিতে রয়েছে একদিনের ম্যাচ আর টেস্ট মিলিয়ে ২০ হাজারের উপর রান। শতরান রয়েছে ৩৮টি।
উল্লেখ্য, সৌরভ এখন বাংলা ক্রিকেটের প্রশাসক এবং একই সঙ্গে কলকাতার একটি ফুটবল দলের মালিকও।
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.