পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর গোপনাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে দিয়েছেন এক নববধূ। পরে তিনি নিজেই তার স্বামীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে স্বামীকে হাসপাতালে ফেলেই তিনি পালিয়েছেন।
আহত ব্যক্তির নাম পলান সরকার (৩২)। তিনি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ফয়েন উদ্দিনের মেয়ে খদেজা খাতুনের (২৭) সঙ্গে কয়েক মাস আগে তার বিয়ে হয়। শুক্রবার সকালে বাবার বাড়িতেই এ কাণ্ড করেছেন খদেজা।
পলান সরকারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৌসুমী ইসলাম বলেন, সকালে গুরুতর অবস্থায় পলান সরকারকে হাসপাতালে আনা হয়। তার গোপনাঙ্গ পুরোপুরি কাটেনি, কিন্তু খুব বাজেভাবে কেটেছে। প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল।প্রথমে আহত ব্যক্তি স্বীকার করছিলেন না যে, তার স্ত্রী এই কাজ করেছেন। পরে তিনি স্বীকার করেন যে ব্লেড দিয়ে তার স্ত্রী কেটে দিয়েছেন। এরপর থেকে আমি আর তার স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে পাইনি।
আহত ব্যক্তি জানান, বিয়ের পর স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থাকেন। মাঝে-মধ্যেই পলান সরকার তার স্ত্রীকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে আসতেন। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার ভোরে দু’জনের ঝগড়া শুরু হয়। পরে তার স্বামী আবারও ঘুমোতে যান।
এই সুযোগে স্ত্রী খদেজা তার স্বামীর গোপনাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে দেন। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরবর্তীতে সেখানকার অবস্থা বেগতিক দেখে বারান্দায় ফেলেই পালিয়ে যান।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, খবরটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ববস্থা নেওয়া হবে।
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.