সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না এমন মানুষকেই আমরা নাস্তিক বলে থাকি। নাস্তিকতাবাদ দর্শনে ঈশ্বর বা স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয় না এবং সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া হয়। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে বিশ্বে ধার্মিক বেশি, নাকি নাস্তিক? সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না এমন মানুষ কোন কোন দেশে সবচেয়ে বেশি? সবচেয়ে বেশি ‘নাস্তিক’ বাস করেন কোন দেশে? তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর।
চীন:
গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনালের ৬৫টি দেশ নিয়ে করা এক জরিপ বেরিয়ে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নাস্তিক বাস করেন। সে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন। চীনের শতকরা ৬১ ভাগ মানুষ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সরাসরি অস্বীকার করেন, বাকি ২৯ ভাগ নিজেদের ধর্মে বিশ্বাসী নন বলে দাবি করেছেন।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেনে মাত্র ৮ ভাগ মানুষ উপাসনালয়ে গিয়ে ধর্ম চর্চা করেন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এই তথ্য বেরিয়ে আসে। তবে গ্যালাপের জরিপ অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৬ ভাগই সৃষ্টিকর্তা আছেন বলে মনে করেন না।
চেক প্রজাতন্ত্র:
চেক প্রজাতন্ত্রের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩০ ভাগ মানুষ নিজেদের সরাসরিই ‘নাস্তিক’ বলে দাবি করেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের ধর্মবিশ্বাস আছে কিনা, তা জানাতেই রাজি নন। মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করেন। গ্যালাপের জরিপ জানাচ্ছে, সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশটিতে এক হিসেবে শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষই নাস্তিক, কেননা তারা ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তার গুরুত্ব স্বীকার করেন না।
ব্রিটেন:
জরিপে অংশ নেয়া ব্রিটেনের শতকরা ৫৩ জন মানুষ বলেছেন যে, তাদের কোনো ধর্মবিশ্বাস নেই। আর ১৩ ভাগ সরাসরিই বলেছেন, আমি নাস্তিক।
হংকং:
বিশ্বের ৬৫টি দেশের ৬৪ হাজার মানুষের মাঝে এই জরিপ চালিয়েছে গ্যালাপ। হংকংয়ের মানুষদের সম্পর্কেও একটা ধারণা পাওয়া গেছে এই জরিপ থেকে৷ দেখা গেছে, হংকংয়ের শতকরা ৪৩ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে নাস্তিক। বাকি ৫৭ ভাগের মধ্যে ১৯ ভাগকেও আস্তিক অন্তত মনে হয়নি।
জাপান:
জাপানে প্রত্যক্ষ নাস্তিক শতকরা ৩১ ভাগ হলেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের গুরুত্ব নিয়ে ভাবেন না এমন মানুষও আছে অনেক
জার্মানি:
গ্যালাপ জরিপে দেখা যায়, জার্মানির ৫৯ ভাগ মানুষকেই নাস্তিক। ইউরোপের অন্যান্য দেশ, যেমন স্পেন, অস্ট্রিয়া এবং ফ্রান্সের নাগরিকদেরও বড় একটা অংশই নাস্তিক। ইউরোপের বেশ কিছু দেশেই এখনো নাস্তিকরাই সংখ্যাগুরু। তবে সংখ্যালঘু আস্তিকদের ধর্ম চর্চায় তাতে কোনো সমস্যা হয় না।
ডেইলি নিউজ টাইমস বিডি ডটকম (Dailynewstimesbd.com)এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন করুন।
সূত্র: ডিডব্লিও
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.