***********************
ব্রিটিশ ভারতে স্বাধীন রাজাদের মোট সংখ্যা ছিল ৫৬৫টি। এদের মধ্যে হায়দ্রাবাদের আয়তন ছিল ফ্রান্সের প্রায় অর্ধেক, আবার হায়দ্রাবাদের ছিল নিজস্ব সেনাবাহিনী, ট্যাংক বহর, এমনকি নিজেদের রেল ব্যবস্থাও। শাসনব্যবস্থা ছিল ব্রিটিশদের থেকেও উন্নত। মোটমাট হিসেবে বলা যায়, ব্রিটিশদের বিরোধিতা তারা মোটেই করতেন না। রাজ্যে নিযুক্ত থাকতো একজন ব্রিটিশ কর্মচারী, সে-ই বড়লাটের সাথে রাজাদের যোগাযোগের বিষয়াদি দেখতো। আর রাজারা নিজেদের সাধ্যমত ব্রিটিশদের তোয়াজ চালাতেন। আনুগত্যের বিনিময়ে রাজারা পেতেন বিরল সন্মান এর সাথে সাথে নানা সম্মানমূলক পদক আর উপাধিও দেওয়া হত ব্রিটিশদের প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে। সম্বোধন করা হত ‘হিজ হাইনেস’ বলে।
ভারতের রাজাদের ধনসম্পত্তির কথা যেকোনো রুপকথাকেও হার মানায়। সম্পদের দিক দিয়ে সবথেকে জাঁকালো ছিলেন হায়দ্রাবাদের নিজাম বাহাদুর সিপাহী সালার ফতে জং মীর ওসমান আলী খান সিদ্দিকি। তিরিশের দশকেই তার মোট সম্পত্তির অর্থমূল্য ছিল দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার (তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাজেটের ২ শতাংশের সমান)। দীর্ঘদিন বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাবটা তার দখলেই ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এক লহমায় ২৫ লক্ষ পাউন্ড দান করে ব্রিটিশদের কৃতার্থ করে দিয়েছিলেন তিনি। ১৮৫ ক্যারাট ওজনের প্রকান্ড এক হীরা ব্যবহার করতেন পেপার ওয়েট হিসেবে। এছাড়া মুক্তা, পান্না, চুনী মিলিয়ে তার হাতে ছিল প্রায় ১৭০ এর বেশী রত্ন। রানী এলিজাবেথের বিয়ের সময় বহুমূল্য একটি হীরের জড়োয়া নেকলেস দিয়েছিলেন এই নবাব। শুধু তা-ই না, বলা হয় তার বাগানে নাকি সোনার তাল বোঝাই ১২টি ট্রাক মজুত থাকতো, ভূগর্ভে জমা ছিল প্রায় ২০ লক্ষ পাউন্ড নগদ অর্থ।
তথ্য সুত্র:Roar বাংলা
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.