


সেদিনের। ছোটবেলা থেকে আমি একটু স্বতন্ত্র
প্রকৃতির। যে বয়সে মেয়েরা সঙ্গিনীদের সঙ্গে
হেসে খেলে বেড়ায়, সেই বয়স থেকেই আমি একলা থাকতে ভালবাসতাম। আপন মনে পুতুল খেলতাম। কত রকম করে পুতুলের ঘর সাজাতাম, বেশ বানাতাম, আবার ভাঙতাম, আবার গড়তাম। এই ঘর সংসার গড়ার নেশাই ছিল আমার সকল সত্ত্বা জুড়ে। এ নেশা আজও কাটেনি। চারপাশে আমার বয়সী মেয়েদের খেলাধূলা কোনটাই আমার মনের মতো ছিলনা। সবাইকে সভয়ে এড়িয়ে চলতাম। কারণ চেষ্টা করেও খাপ খাইয়ে চলতে পারব না, অজ্ঞাতেই যেন এটা বুঝে ফেলেছিলাম। শিশুমন অনেক দিন থেকে ঠিক বিজ্ঞব্যক্তির চেয়েও প্র্যাকটিক্যাল। অনেক জিনিস দেখেছি, বিজ্ঞদেরও বুঝতে দেরি হয়, কিন্তু শিশুরা
যেন সহজাত অনুভূতির মতো এক নিমেষেই বুঝে
ফেলে কোনটা তাদের এলাকার মধ্যে, কোনটা নয়।
জীবনের অনেক উপলব্ধির মতো আমার
আর একটা উপলব্ধ সত্য হল এই যে, ঘটনাটাই
জীবনের সবচেয়ে বড় জিনিস নয়। অনেক সময়
ঘটনার জঞ্জালস্তূপ সত্যের রূপকে আবৃত করে।
তাই জীবনের ঘটনা বর্ণনায় আমি বিশ্বাসী নই।
ঘটনাকে মনেও রাখিনি। ঘটনার অতীত যে
অপরূপের কাছে কৃতজ্ঞ নম্রচিত্ত বলতে পারি "এই
জনমে ঘটালে মোর জন্ম জন্মান্তর "। যাঁর
অযাচিত করুণায় জীবনের সকল বাধা দৈন্য
আলোর বন্যায় ভেসে গেছে, অকল্পিত, অভাবিত
অসম্ভবকে না চাইতেই যিনি হাতের মুঠোয় এনে
দিয়েছিলেন তাঁকে দেখিনি। কিন্তু তাঁর কল্যাণ
স্পর্শ অনুভব করেছি বারবার। আর বারবার
বিস্মিত হয়েছি এ কেমন করে সম্ভব হলো, আমি তো এর যোগ্য নই!”
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.