কবিগুরু রবি ঠাকুরের স্নেহধন্যা, শান্তিনিকেতনের প্রিয়মুখ অমিতা সেন। নোবেলজয়ী বাঙালি সন্তান অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের মা ছিলেন তিনি। অমিতা সেন ১৯১২ সালের ১৭ জুলাই মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। উল্লেখ্য যে, শন্তিনিকেতনে যারা পরিচিতি লাভ করেছেন অমিতা নামে সে রকম কয়েকজনই রয়েছেন। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের মায়ের নাম অমিতা সেন, যিনি প্রয়াত হয়েছেন ২০০৫ সালের ২২ অগাস্ট।
অমিতা সেনের আদি বাড়ি মানিকগঞ্জ। তাঁর পিতা আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন শান্তিনিকেতনের শিক্ষক এবং উপাচার্য। আর তাঁর স্বামী অধ্যাপক আশুতোষ সেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং পরবর্তীতে ওয়েষ্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দিল্লিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদেরই কৃতি সন্তান অধ্যাপক অমর্ত্য সেন, অর্থনীতিবিদ হিসেবে তাঁর খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক তিনি। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অব সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেন।
শন্তিনিকেতনে যারা পরিচিতি লাভ করেছেন অমিতা নামে সে রকম কয়েকজনই রয়েছেন। তবে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের মা অমিতা সেন শান্তিনিকেতনেই লেখাপড়া করেন।আমৃত্যু সেখানেই নানা দায়িত্ব পালন করেন। অমিতা সেন নাচতেন। এ প্রসঙ্গে তাঁকে নিয়ে অধ্যাপক যশোধরা বাগচী লিখছেন, ‘আমরা যখন বড়ো হয়ে উঠছি, তখন শুনতাম, রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে সেই সময় দুই ‘অমিতা সেনে’র রমরমা - একজন নাচে ও একজন গানে। নাচতেন কিরণবালা ও ক্ষিতিমোহন সেনের ছোট কন্যা - আমার অমিতাপিসি। আমার ছোটকাকা রামানন্দ সেনগুপ্তর ক্যামেরায় তাঁর কিছু অংশ তোলা ছিল বলে শুনেছি, নিজে কখনো দেখিনি। কিন্তু অনেক পরে প্রায় প্রৌঢ়ত্বে উপনীত হয়ে অমিতাপিসির সজীব লেখাগুলির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।’
অমিতা সেন রবীন্দ্রনাথের ‘শাপমোচন’, ‘নটীর পুজা’ নৃত্যনাট্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন, শান্তিনিকেতনের অর্থনৈতিক দৈন্যদশাকালে অর্থ সংগ্রহে ভূমিকা রাখেন বলে জানিয়েছেন সন্তান অধ্যাপক অমর্ত্য সেন।
(গুগল সহায়তায় সম্পাদিত)
0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.