মুসলিম হয়ে জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়া কিছু দুর্ধর্ষ জঙ্গির কথা৷ /লাভ জেহাদীর মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে নির্যাতিত হয়েছে ধর্ষিত হয়েছে মারা গেছে এরকম দশটি কাহিনী 2

মুসলিম হয়ে জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়া কিছু দুর্ধর্ষ জঙ্গির কথা৷

মুসলিম হয়ে জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়া কিছু দুর্ধর্ষ জঙ্গির কথা৷

 এবারে দেখুন হিন্দু থেকে মুসলিম হয়ে জঙ্গিবাদে যুক্ত হওয়া কিছু দুর্ধর্ষ জঙ্গির কথা৷


☞ সাইফুল্লাহ ওজাকি (সুজিৎ চন্দ্র দেবনাথ):
সর্বাধিক আলোচিত নামটি হল সাইফুল্লাহ ওজাকি ওরফে সুজিৎ চন্দ্র দেবনাথ৷ গত বছর ঢাকার গুলশান হামলার পরই তার নামটি শিরোনামে উঠে আসে৷ বাংলাদেশ থেকে জাপান গিয়েছিল সাইফুল্লাহ৷ সেখানে এক প্রবাসী মুসলিম মেয়ের সাথে প্রেম ৷ তারপর ধর্মান্তরিত হয়ে সুজিৎ থেকে সাইফুল্লাহ ৷ পরে সেখান থেকে সিরিয়ায় গিয়ে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয় সে ৷
তার আগে অবশ্য আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিল সিদ্ধার্থ ধর ওরফে আবু রুমায়াশার নাম৷ তার মা ছিলেন কলকাতা নিবাসী৷ লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেয় সিদ্ধার্থ৷ ঘটনার কারন সেই একই ৷ মুসলিম মেয়ের সাথে প্রেম ৷ অতঃপর ধর্মান্তরিত হয়ে জঙ্গি ৷

☞ তামিম দ্বারী (গৌরাঙ্গ কুমার মণ্ডল): শুধু এই নামটিই যথেষ্ট৷ এই জঙ্গির অপর নামগুলি হল আব্দুল্লাহ হাসান ওরফে আজিজুর রহমান ওরফে আব্দুল্লাহ আল জাফরি ওরফে আমির হামযা৷ বাড়ি সাতক্ষীরার উত্তরপাড়ায়৷ উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় সে মুসলিম মেয়ের প্রেমে পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। নাম হয় তামিম দ্বারী৷ মেরিন কোর্স( নৌ বিদ্যা) করে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের বিভিন্ন জাহাজে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করে। চাকরি করার সময় তার জাহাজ পাকিস্তানের বন্দরে গিয়েছিল৷
ওই জাহাজে আবু বক্কর নামে তরুণের সঙ্গে পরিচয় হয়৷ সেই আবু বক্কর জিহাদের কথা বলে জঙ্গি মতাদর্শে টেনে আনে তামিম দ্বারীকে।

☞ আব্দুল্লাহ (প্রভাত কুমার):
কিছুদিন আগের ঘটনা৷ ঝিনাইদহের পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনে পাড়ার একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় বাংলাদেশের পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। অভিযানে কেউ ধরা না পড়লেও প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়৷ পরে জানা যায় বাড়িতে থাকত আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) জঙ্গি আবদুল্লাহ৷ তার পূর্বের নাম প্রভাত কুমার৷ পাঁচ বছর আগে এক মুসলিম মেয়ের সাথে সম্পর্কের জেরে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে সে আরো একজন মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করে। মোট তিনবার বিয়ে করেছে এই জঙ্গি৷

☞ মহম্মদ ইব্রাহিম (ঝুলন দেবনাথ): বাড়ি চট্টগ্রামের বড় হাতিয়া গ্রামে। বিয়ের পূর্বে তার মুসলিম মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল ৷ একারনে স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকে সে ৷ স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় একবার জেল খাটে ঝুলন। তারপরই সে ধর্মান্তরিত হয়৷ নাম নেয় মহম্মদ ইব্রাহিম৷ আচমকা নিরুদ্দেশ হয়ে যায়৷ তার নাম সন্দেহভাজন জঙ্গি তালিকায় উঠে এসেছে৷

☞ উজ্জ্বলকান্তি নাথ (ধর্মান্তরিত নাম জানা যায়নি): চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা৷ বছর দুয়েক নিরুদ্দেশ৷ তাকেও সন্দেহভাজন জঙ্গিদের তালিকায় রাখা হয়েছে৷ ধর্মান্তরিত হয়ে উজ্জ্বল কী নাম গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি৷ উজ্জলও মুসলিম মেয়ের প্রেমে জড়িয়েছিল বলে তার ঘনিষ্ঠ লোকজনের কাছ থেকে খবর পাওয়া গেছে ৷

☞ মুসায়াব ইবনে উমায়ের (পিকলু দাশ): চট্টগ্রামের মহাজন বাড়ির ছনহরা গ্রামের বাসিন্দা৷ গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, হিন্দু থাকাবস্থায় তার কলেজের এক মুসলিম মেয়ের প্রেমে পড়ে ধর্মান্তরিত হয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয় পিকলু৷ পরে নতুন নাম গ্রহণ করে হয় মুসায়াব ইবনে উমায়ের। ২০১১ সালে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার এক মাস পর তার পড়ার টেবিলের ড্রয়ারে একটি ডায়েরির ১ম পাতায় লেখা ছিল, “মালিক আল্লাহ”। চট্টগ্রামে বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলা করার টার্গেট ছিল পিকলু ওরফে উমায়ের৷ (goo.gl/YHAPMx )

এরকম ভয়ংকর আত্মঘাতী লাভ জিহাদের ঘটনা তুলে ধরে হয়তো এরকম হাজারটা পোষ্টেও শেষ করা যাবে না ৷ চার চারটা বছর ধরে আমার মত হাজার হাজার আইডি থেকে বার বার লাভ জিহাদের ভয়াবহতা তুলে ধরলেও হয়তো হিন্দু সমাজে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না ৷ যতদিন পর্যন্ত হিন্দু ছেলে-মেয়েরা, তাদের অভিভাবকরা লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে জাগবে না , সচেতন হবে না, সতর্ক করবে না ততদিন পর্যন্ত এরকম ভয়ংকর আত্মঘাতী লাভ জিহাদের দাপট চলেতেই থাকবে...৷ আজকে সোমা বিশ্বাস, সন্দীপ, সুজিৎ , সিদ্ধার্থ, গৌরাঙ্গ, প্রভাত, ঝুলন, উজ্জ্বলকান্তি, পিকলু দাসেরা লাভ জিহাদের বিষাক্ত থাবায় আক্রান্ত ৷ কাল হয়তো আপনারই সন্তান, বোন কিংবা স্বজন ৷

বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে, অলি-গলিতে, শহরে-বন্দরে প্রতিদিন শত শত হিন্দু ছেলে-মেয়েরা আক্রান্ত হচ্ছে লাভ জিহাদের বিষাক্ত থাবায়; পা দিচ্ছে মরণ ফাঁদে ৷ আর এর সফ্ট টার্গেট সবচেয়ে বেশি মেয়েরা ৷ কি ভাবছেন ? এসব ছেলে-মেয়েদের জন্যে কমেন্ট বক্সে ঘৃণা ভরা অশ্লীল গালি উগড়ে দিবেন ? এ দায় কাদের ? আমরা কি তাদের ধর্ম শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি নাকি টিভি সেটের সামনে বসিয়ে “বোঝে না সে বোঝে না”, “খিলাড়ীর” মত লাভ জিহাদ প্রোমোট করা সিনেমা দেখিয়ে বড় করে তুলছি ?নাকি “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” , “তোমার শরীরে রক্ত লাল ওদের শরীরের রক্তও লাল” এসব আত্মঘাতী বাণী শিক্ষা দিয়ে বড় করে তুলছি হিন্দু ছেলে-মেয়েদের ৷ আরে রক্ত তো লাল কুত্তারও হয় !

অনেক হয়েছে উদাসীনতা ! এবার তো থামুন ! এখন থেকেই বুকে হাত দিয়ে শপথ নিন ৷ আর যেন একটা হিন্দু ছেলে-মেয়েও লাভ জিহাদের শিকার না হয় ৷ শুরু করতে হবে আপনার ঘর থেকেই ৷ ছেলে-মেয়েদের শুধু উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার নেশায় মশগুল না হয়ে তাদের ধর্ম শিক্ষাও দিন ৷ প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে একদিন হলেও তাদের দিয়ে বেদ, গীতা পাঠ করান ৷ জানতে দিন সনাতন ধর্মের মাহাত্ম্য ৷ যারা ধর্মান্তরিত হয় তাদের কেউই সনাতন ধর্মকে সঠিকভাবে জানে না ৷ আর কিছু না পারলে আমরা যারা অনলাইনে প্রতিনিয়ত “লাভ জিহাদ” নিয়ে লিখে চলেছি অন্তত সেসব লেখাগুলো তাদের পড়ে শোনান ৷ তাদের সাথে বন্ধুর মত মিশুন ৷ সে যেই হোক ! আপনার সন্তান, বোন কিংবা স্বজন ৷ বোঝান “লাভ জিহাদ” কতটা ভয়াবহ ?
কি এর শেষ পরিণতি ?

আর সেইসব হিন্দু ছেলে-মেয়েদের বলছি, যদি মনে করে থাকেন যে, আপনার মুসলিম বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড অন্য সবার মত নয়; সবার থেকে আলাদা ৷ আপনাকে খুব ভালবাসে ৷ তাহলে আজই তাকে বলুন আপনার জন্য সে ইসলাম ত্যাগ করতে পারবে কিনা ? হিন্দু হতে পারবে কিনা ? স্রেফ এই একটা প্রশ্নেই বুঝে যাবেন কি তার উদ্দেশ্য ৷ ভালবাসা নাকি মুসলিম সংখ্যা বাড়ানো ? আর নয়তো আপনিই হবেন নব্য জঙ্গি অথবা নতুন কোন সোমা বিশ্বাস !

আর হ্যাঁ, যদি মনে করে থাকেন উপরিউক্ত লেখাটি পড়ে কেউ সচেতন হতে পারে, সতর্ক হতে পারে, কারো জীবন লাভ জিহাদের বিষাক্ত থাবা থেকে বাঁচতে পারে তাহলে লেখাটি সর্বত্র ছডিয়ে দিন ৷ আমি বলছি না আমার লেখাটিই শেয়ার করুন ৷ দরকার হলে কপি করে সব পেইজ, গ্রুপ, আইডি, এমনকি ম্যাসেজ হিসেবে বন্ধুদের সেন্ড করুন ৷ আমি চাই যেভাবেই হোক লেখাটি ভাইরাল হোক ৷

ধন্যবাদ ৷

লিখেছেনঃ Rony Roy 

Post a Comment

0 Comments