আপনি কোথায় আছেন ? মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করতে চান ? আরো শুনুন।
যাকে এত ভালোবেসে বিয়ে করছেন, সেই মানুষটি যদি কোনো কারণে আপনাকে রাগের মাথায় তালাক বলে ফেলে, তাহলেই কিন্তু আপনার সংসার জীবন শেষ। এরপর আপনার মুসলিম স্বামী যদি নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার আপনাকে ঘরে নিতে চায় তাহলে কিন্তু সে তা পারবে না। আপনাকে তখন একজন অপরিচিত বা পরিচিত অন্য কাউকে বিয়ে করতে হবে। এই বিয়ের নাম "হিল্লা বিয়ে"। শুধু তাকে বিয়ে করলেই হবে না, অন্তত একবার হলেও তার সাথে সেক্স করতে হবে। এরপর ওই ব্যক্তিটি যদি আপনাকে আবার তালাক দেয় তাহলেই শুধু আপনি আবার আগের স্বামীর সঙ্গে শুতে পারবেন।
এ সম্পর্কিত আয়াত "অতঃপর স্ত্রীকে যদি সে তালাক দেয় তবে যে পযন্ত না ঐ স্ত্রী অন্য স্বামীকে বিবাহ করছে এবং এই দ্বিতীয় স্বামী ঐ স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছে, সে ঐ স্ত্রীকে পুনরায় বিবাহ করতে পারবে না। (কোরান- ২: ২৩০)
এখানেও কিন্তু আপনার কোনো দোষ ছিলো না। আপনার স্বামীই রাগের মাথায় আপনাকে তালাক বলে ফেলেছে। তার মাশুল দিতে হলো আপনাকে অন্য একজন লম্পটের সাথে হিল্লা বিয়ের নামে সেক্স করে ।
কি ? মুখ দিয়ে আর কথা বেরুচ্ছে না ? আরও আছে, শুনুন-
যখন তখন আপনার মুসলিম স্বামী আরো তিনটি বিয়ে করে আপনার সংসারকে "চার সতীনের ঘর" বানিয়ে দিতে পারে। তখন আপনার মুসলিম স্বামী আপনাকে রেশনিং পদ্ধতিতে বিছানায় সময় দেবে, তিনদিন পর পর একদিন। এ সম্পর্কিত আয়াত, "... চারজনকে বিয়ে করে নাও..." (কোরান- ৪:৩)
গিফট আরো আছে, আপনাকে যদি আপনার স্বামীর আর ভালো না লাগে, ভালো না লাগারই কথা, মাল পুরাতন হলে কার ভালো লাগে ? তখন আপনার মুসলিম স্বামী আপনাকে রেশনিং পদ্ধতিতে আর সময় নাও দিতে পারে।
এ সম্পর্কিত আয়াত, "তুমি স্ত্রীদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট হতে দূরে রাখতে পারো এবং যাকে ইচ্ছা গ্রহন করতে পারো"। (কোরান- ৩৩:৫১)
অর্থাৎ স্বামীর মন পেতে হলে এবং তাকে আপনার বিছানায় নিতে হলে পতিতা পল্লীর মেয়েদের মতো কাস্টমার ধরার জন্য আপনাকে আরো তিনজনের সাথে কমপিটিশনে নামতে হবে।
এরপরও আপনার মুসলিম স্বামীর মন ও দেহ যদি আপনি না পান এবং রাগের বশে বা দেহের জ্বালায় যদি অন্য কাউকে বিছানায় নেওয়ার চেষ্টা করেন, তার ব্যবস্থাও ইসলাম করে রেখেছে। ব্যবস্থাটি একরম :
"তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যাভিচার করে... তাদের গৃহে অবরুদ্ধ করবে, যে পযন্ত না তাদের মৃত্যু হয়।" (কোরান-৪:১৫)
খেলা আরো আছে, শ্বশুর যদি ধর্ষণ করে তাহলে আপনার কী হবে, তা শুরুতেই বলা হয়েছে। এবার অন্য কারো দ্বারা যদি আপনি বা অপনার কোনো মেয়ে যদি ধর্ষিতা হয় তাহলে ইসলামি আইনে আপনার বা আপনার মেয়ের কী হবে তা শুনুন।
আপনি ধর্ষিতা হয়েছেন বলে যদি অভিযোগ করেন, তাহলে আপনার পক্ষে ৪ জন পুরুষের সাক্ষী লাগবে। তখন এই সাক্ষী আপনি কোথায় পাবেন ? এটা কি বাস্তব কথা ? ৪ জন পুরুষকে সাক্ষীর জন্য রেডি করে কি আপনার পক্ষে ধর্ষিতা হওয়া সম্ভব ? হ্যাঁ, সম্ভব। ধর্ষিতা হওয়ার না, গণধর্ষিতা হওয়ার। কারণ, যদিও অসম্ভব, তারপরও বলছি, যে ৪ জনকে রেডি করে আপনি ধর্ষিতা হতে যাবেন, সে ৪জনও আপনাকে ধর্ষণ করবে। সুতরাং ইসলামি আইনের এই ফাঁক ফোঁকরের জন্য একজন মুসলিম পুরুষের পক্ষে ধর্ষক হওয়া কত সহজ এবং মজার তা বুঝতে পারছেন ? আপনি মুসলিম পরিবারের বধূ হলে এই সব ধর্ষক সবসময় ওঁৎ পেতে থাকবে আপনাকে এবং আপনার মেয়েকে ধর্ষণ করার জন্য।
শেষ গিফট, আপনার মুসলিম স্বামীর যখন বয়স ৫০ বা ৫৩, তখন তার মধ্যে নবীর আরো একটি সুন্নত পালনের চিন্তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তা হচ্ছে, ৬ বা ৯ বছর বয়সী কোনো বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করার। ঐ বাচ্চা মেয়েটি যদি আপনার স্বামীর কোনো বন্ধুর হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। তখন হয়তো আপনার নিজের বয়স ৪৫ বা ৪৮ এবং আপনার মেয়ের বয়স ২৫ বা ২৮, তখন মজাটা কেমন হবে ? এর কারণ হচ্ছে, নবী নিজে ৫০ বছর বয়সে তার বন্ধু আবু বকরের মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেছিলো এবং ৫৩ বছর বয়সে আয়েশার বয়স যখন ৯, তখন বিছানায় নিয়ে গিয়ে...
আর বললাম না।
এখানে আর একটি ব্যাপার কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো আপনার মেয়ের বয়স যখন ৬ বা ৯, তখন কিন্তু তাকে আপনার স্বামীর বন্ধুদের কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে। বলা তো যায় না, কার মাথায় কখন সুন্নত পালনের চিন্তা জেগে উঠে। ধর্ষণের ভয় তো সবসময় আছেই।
গিফট দেখি শেষ ই হয় না, আর একটি দিতেই হলো, তোমার স্বামী যদি মুসলিম হয়, তাহলে তুমি তোমার স্বামীর বন্ধুদের সাথে হেসে কথা বলতে পারবে না এবং সবসময় ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। কোন আয়াতের নির্দেশ সেটা দেখো :
"...বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন করো না, যাতে দুষ্ট মনের কোনো ব্যক্তি লালসা করতে পারে।" (কোরান- ৩৩:৩২)
"নিজেদের ঘরে অবস্থান করো এবং...সাজগোজ দেখিয়ে বেড়িয়ো না।" (কোরান- ৩৩:৩৩)
এখানেই শেষ নয়, আপনার জন্য বিপদ আরো আছে। ৪টা বিয়ের পর আপনার মুসলিম স্বামী হয়তো আর বিয়ে করতে পারবে না। কিন্তু বাড়িতে যদি কাজের মেয়ে রাখেন, তাহলেই আপনার সর্বনাশ। ঐ কাজের মেয়েকে আপনার স্বামীর বিছানায় দিতে আপনি বাধ্য থাকবেন। আল্লাহ কোন আয়াতে এমন বিধান দিয়েছেন, কোরান খুলে একটু দেখে নিন,
"এদের পরে তোমার জন্য অপর মহিলারা হালাল নয়, আর এদের স্থানে অপর স্ত্রী গ্রহণ করারও অনুমতি নেই, তাদের রূপ-সৌন্দয্য তোমার যতই মন মতো হোক না কেনো! অবশ্য দাসীদের অনুমতি তোমার জন্য রয়েছে।"(কোরান-৩৩: ৫২)
আলোচ্য প্রবন্ধে যা বলা হলো, তার সবই পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু আপনি যদি শুধু খ্রিস্টান বা ইহুদি না হন, তা হলে আপনার জন্য বিয়ের শুরুতেই অপেক্ষা করছে আরো এক মারাত্মক শক্ড।
ব্যাপারটি এরকম : আপনি যদি হিন্দু বা বৌদ্ধ হন এবং কোনো মুসলিম ছেলের প্রতি আগ্রহ দেখান, তাহলে সে আপনাকে এই বলে আকৃষ্ট করবে যে, ধর্ম কোনো ব্যাপার না। তোমার ধর্ম তুমি পালন করবে, আমার ধর্ম আমি।ইচ্ছা করলে তুমি চাকরিও করতে পারো। এককথায় তুমি স্বাধীন। আমি তোমার কোনো কাজে বাধা দেবো না। এভাবে প্রেমকে চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে আপনি যখন মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, বাড়ি-ঘর সব ছেড়ে তার বাড়িতে উঠবেন, তখনই শুরু হবে আসল খেলা। প্রথমেই তারা আপনাকে মুসলমান বানাবে। কারণ, ইসলামি আইনে খ্রিষ্টান এবং ইহুদি মেয়েদের সাথে মুসলিম ছেলেদের বিয়ের বিধান থাকলেও হিন্দু বা বৌদ্ধ মেয়েদের বেলায় এমন বিধান নেই। এ কারণেই ফিরোজ খাঁকে বিয়ে করার আগে ইন্দিরা গান্ধীকে মুসলমান হতে হয়েছিলো। আর এই একই কারণে আমাদের অসাম্প্রদায়িক(!) কবি নজরুল, আশালতাকে বিয়ে করার আগে তার নাম পাল্টিয়ে কাজী প্রমীলা ইসলাম রেখে তারপর আশালতাকে বিয়ে করেছিলো। কারণ, সিভিল আইনে বিয়ে করলে, বর কনে উভয়কে এই মর্মে ঘোষণা দিতে হয় যে, আমরা কোনো ধর্ম মানি না। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক(!)নজরুল এই ঘোষণা দিতে রাজী ছিলো না।
এরপরও মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করার ভূত যদি আপনার মাথা থেকে না সরে, তাহলে আপনি একটা চুড়ান্ত স্টুপিড। আর স্টুপিডদের কপালে শুধু শাস্তিই লেখা থাকে। আর যারা মনে করছেন, ধর্মে লেখা থাকলেই কি মুসলমান পুরুষরা এমন করবে ? তাদেরকে বলছি, কোনো মুসলমান যদি ইসলামের বিধি বিধানের একটা কিছু না মানে বা অস্বীকার করে সে আর মুসলমান থাকে না, তাই প্রত্যেক মুসলমানের চেষ্টা থাকে পূর্ণাঙ্গভাবে ইসলামকে মানার, আর যখন কোনো মানুষ পূর্ণাঙ্গভাবে ইসলামকে মানে, তখন সে আর মানুষ থাকে না, হয়ে যায় জানোয়ার।

0 Comments
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.